আজকের এই পোষ্টে ভিভো কোম্পানির লো-মিডরেঞ্জের একটি স্মার্টফোন নিয়ে কথা বলবো। আর স্মার্টফোনের নাম হচ্ছে Vivo Y21T।
Vivo Y21T স্মার্টফোনটির বিষয়ে সকল কিছু জানার পূর্বে প্রতিবারের মতোই চলুন এই স্মার্টফোনটির দাম ও স্পেসিফিকেশনে সকল আদ্য-প্রান্ত দেখে নেওয়া যাক এক পলকে।
Vivo Y21T এর দাম
বাংলাদেশে মার্কেটপ্লেসে Vivo Y21T স্মার্টফোনটির ৮/১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের অফিশিয়াল দাম ১৯,৯৯০ টাকা। স্মার্টফোনটি দেশে পাওয়া যাবে ২টি কালারে (Midnight Blue, Pearl White)।
Vivo Y21T full Specifications
বাংলাদেশে রিলিজ | ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ |
কালার | Midnight Blue, Pearl White |
পারফরমেন্স | |
চিপসেট | Qualcomm Snapdragon 680 (6 nm) |
র্যাম | ৪ জিবি |
প্রসেসর | Octa core, up to 2.4 GHz |
জিপিইউ | Adreno 610 |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১১ |
কাস্টম ইউআই | Funtouch 12 (ফানটাচ ১২) |
ডিসপ্লে | |
সাইজ | ৬.৫১ ইঞ্চি |
রেজোলিউশন | এইচডি+ ৭২০ x ১৬০০ পিক্সেল (২৭০ পিপিআই) |
টেকনোলজি | আইপিএস এলসিডি টাচস্ক্রীন |
প্রোটেকশন | নেই |
ফিচার | মাল্টিটাচ |
ব্যাক ক্যামেরা | |
রেজোলিউশন | ট্রিপল ৫০+২+২ মেগাপিক্সেল |
ফিচারস | PDAF, f/1.8, এলইডি ফ্ল্যাশ, এইচডিআর, মেক্রো এবং অন্যান্য |
ভিডিও রেকর্ডিং | ফুল এইচডি (1080p@30fps, 720p@30fps) |
ফ্রন্ট ক্যামেরা | |
রেজোলিউশন | ৮ মেগাপিক্সেল |
ফিচারস | F/২.৮ অ্যাপারচার, এইচডিআর এবং অন্যান্য |
ভিডিও রেকর্ডিং | ফুল এইচডি (1080p@30fps, 720p@30fps) |
কানেক্টিভিটি | |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি |
সিম | ডুয়্যাল ন্যানো সিম |
WLAN | ডুয়্যাল ব্যান্ড, ওয়াইফাই হটস্পট, ওয়াইফাই ডাইরেক্ট |
ব্লুটুথ | v5.0, A2DP, LE |
জিপিএস | A-GPS, GlONASS, BDS, GALILEO |
রেডিও | এফএম |
ইউএসবি | ভার্সন ২.০ |
ওটিজি | Yes (সাপোর্টেড) |
ইউএসবি টাইপ-সি | নেই |
ব্যাটারি | |
টাইপ এবং ক্যাপাসিটি | লিথিয়াম পলিমার ৫০০০mAh ব্যাটারি |
ফাস্ট চার্জিং | ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং |
চার্জিং টাইম | ফুল চার্জ (১০০%) ২ ঘন্টার বেশি |
বডি | |
স্টাইল | মিনিমাল নচ |
ম্যাটেরিয়াল | গ্লাস ফ্রন্ট , প্লাস্টিক বডি |
ওয়াটারপ্রুফ | নেই |
সাইজ | ১৬৪.৩ x ৭৬.১ x ৮ মিলিমিটার |
ওজন | ১৮২ গ্রাম |
স্টোরেজ | |
রম | ১২৮ জিবি |
মাইক্রো এসডি স্লট | ডেডিকেটেড স্লট |
সাউন্ড | |
3.5mm জ্যাক | আছে |
ফিচারস | লাউড স্পিকার |
সিকিউরিটি | |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট | সাইডে অবস্থিত |
ফেস আনলক | আছে |
অন্যান্য | |
নোটিফিকেশন লাইট | নেই |
সেন্সর | ফিঙ্গারপ্রিন্ট, অ্যাক্সিলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি, ই-কম্পাস |
ম্যানুফেকচার | ভিভো |
তৈরি | বাংলাদেশ |
Official Store
Buy Daraz
Buy Daraz
Buy Flipkart
Vivo Y21T সম্পর্কে রিভিউ
স্মার্টফোনের বক্সটি খুলার সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন Y21T স্মার্টফোনটি, ইয়ারফোন, ডকুমেন্টেশন, টাইপ-সি চার্জার ক্যাবল, অ্যাডাপ্টার, কাভার, ইজেক্ট টুল। তবে স্মার্টফোনটির লুক বেশ সুন্দর করা হয়েছে। এটি দেশের বাজারে এসেছে ২টি কালার ভ্যারিয়েন্টে Mirror Black, Midday Dream।
অন্যান্য এই দামের সকল ডিভাইসের মতোই এই স্মার্টফোনটিতেও পেয়ে যাবেন নিচের দিকে হ্যাডফোন জ্যাক, একটি স্পিকার ও চার্জিং ইউএসবি-সি পোর্ট।
ভালো দিক
Vivo Y21T স্মার্টফোনের ডিজাইন বেশ সুন্দর ডিজাইন করা হয়েছে। এর পেছনের লুকটা গ্লাসের মতো লাগলেও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে।
স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশাল ৫০০০ মিলিএম্পিয়ারের ব্যাটারি এবং সাথে যোগ করা হয়েছে ১৮ হোয়াট ফাস্ট চার্জার। যার মাধ্যমে স্মার্টফোনটিকে ২ ঘন্টা বা তার কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই ফুল চার্জ করতে পারবেন।
এর ক্যামেরা সেকশনে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ পেছনের দিকে মেইন ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের সেন্সর, 2 মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেফথ সেন্সর। যা ভালো কোয়ালিটির ছবি তুলতে সক্ষম অন্যান্য ২০-২১ হাজার টাকা দামের ফোনগুলোর মতো।
এবং এর সামনের ক্যামেরা দিয়ে বলতে গেলে এটিও অ্যাভারেজ পারফরম্যান্স দেয় অন্যান্য এই দামের স্মার্টফোন গুলোর মতো।
আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে এই স্মার্টফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ ৪জি (Qualcomm Snapdragon 680 4G) প্রসেসর। যা এই বাজেট রেঞ্জের মধ্যে একটি ভাল মানের প্রসেসর। এবং যা তৈরি করা হয়েছে ৬ ন্যানোমিটার আর্কিটেকচারে। যা স্মার্টফোনের প্রসেসর এর দিক দিয়ে একটি ভালো বিষয় ও এই প্রসেসরটি ৬ ন্যানোমিটার হাওয়ায় চার্জ কম যাবে।
স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১১। যা অন্যান্য সকল স্মার্টফোনের মতো একটি সাধারণ বিষয় এবং যা খুবই স্বাভাবিক। আর ইউআই (UI) হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ভিভোর নিজস্ব ইউআই ফানটাচ ১২ (Funtouch)।
এই স্মার্টফোনটির সাইডে পাওয়ার বাটনের জায়গায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও পাওয়ার বাটন একসাথে ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটি খুবই ভালো বিষয়। যার মাধ্যমে মোবাইল ফোন অন-অফ ও লক-আনলক করা যাবে।
খারাপ দিক
দাম অনুযায়ী স্মার্টফোনটিকে এইচডি+ (HD+) রেজুলেশনের পরিবর্তে অবশ্যই ফুল এইচডি+ হওয়া উচিত ছিল। কারণ অন্যান্য এই দামের ফোন গুলোতে আমরা ফুল এইচডি+ (Full HD+) রেজুলেশনের ডিসপ্লে দেখে থাকি।
আরেকটি দিক হচ্ছে প্রসেসর এর পাশাপাশি ৪ জিবির পরিবর্তে কমপক্ষে ৬ জিবি র্যাম হওয়া উচিত ছিল। কারণ শুধু শক্তিশালী প্রসেসর হলে চলবে না বরং তার পাশাপাশি প্রয়োজন বেশি পরিমাণ র্যামের। তাই ৬ জিবি র্যাম হলে দাম অনুযায়ী বেশ ভালো হতো।
স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে প্রোটেকশন হিসেবে কিছু ব্যবহার করা হয়নি। তবে এখানে গরিলা গ্লাসের প্রটেকশন ব্যবহার করলে ভালো হতো। কারন আমরা এই দামের স্মার্টফোন গুলোতে কমপক্ষে গরিলা গ্লাসের প্রটেকশন দেখে থাকি।
মতামত
স্মার্টফোনের দাম অনুযায়ী যে সকল কমতির দিকে রয়েছে, সেগুলো যদি দেওয়া হত তাহলে এটি একটি পারফেক্ট স্মার্টফোন হতো। কারন এই সকল দিক ছাড়া স্মার্টফোনের সকল কিছুই ঠিক রয়েছে।