৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান “৬ দফা দাবি” পেশ করেন। পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলের এক সম্মেলনে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক আধিপত্য থেকে মুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করেছিল এই ছয় দফা আন্দোলন। এটি ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা ঘোষণার পর তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবে খবরের কাগজে চিহ্নিত করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ২৩ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলীয় সম্মেলনে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। পরবর্তীতে ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। আর ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের সাথে মিল রেখে এই দাবি পেশ করা হয়। মূলত ছয় দফা কর্মসূচির ভিত্তি ছিল লাহোর প্রস্তাব।
তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) নেতারা বুঝতে পেরেছিল যে ছয় দফা দাবি মেনে নিলে পূর্ব পাকিস্তান আর তাদের সাথে থাকবে না। আর এসব কারণের শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান ছয় দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছিল।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা দাবির পক্ষে সারাদেশে গণ আন্দোলন শুরু হয়। ঐ দিনে আওয়ামী লীগের হরতালে ঢাকায় পুলিশ ও ইপিআর গুলি করে। তাদের গুলিতে ১১ জন বাঙালি নিহত হন। আমাদের দেশে প্রতিবছর ৭ই জুন “ছয় দফা দিবস” পালন করা হয়।