বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারে এক বা একাধিক মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে যুবক যুবতীরা প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে।
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির স্মার্টফোন পাওয়া যায়। দুই তিন মাস পর পরই নতুন ফিচারের সাথে নতুন নতুন মোবাইল বাজারে আসে। আর আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে একটি ফোন কয়েক মাস ব্যবহার করার পর আবার নতুন ফোন কিনে থাকে। ফলে পুরনো স্মার্টফোন কম দামে বিক্রি করে দেয় অথবা ঘরে ফেলে রাখে।
পুরনো স্মার্টফোন বা অব্যবহৃত স্মার্টফোন কম দামে বিক্রি করে না দিয়ে অথবা ঘরে ফেলে না রেখে এটিকে আপনি নতুন রূপে, নতুন উপায়ে ব্যবহার করতে পারবেন। এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো পুরনো স্মার্টফোন কিভাবে কাজে লাগাবেন তা নিয়ে।
পুরানো স্মার্টফোন যেভাবে নতুনভাবে ব্যবহার করবেন
আপনার বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা হিসেবে পুরনো স্মার্টফোনকে ব্যবহার করতে পারেন। যার ফলে আপনাকে বাড়তি টাকা খরচ করে সিসি ক্যামেরা কিনতে হবে না।
যদি আপনার পুরনো মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে বা স্ক্রিন ভালো থাকে তাহলে সেটাকে স্টোরেজ ডিভাইস হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। পেনড্রাইভ, গুগল ড্রাইভ ইত্যাদির মতো পুরনো মোবাইলের রোমকে স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার বর্তমান মোবাইলের ছবি, অডিও, ভিডিও, বিভিন্ন ফাইল সেখানে রেখে দিতে পারেন।
পুরনো মোবাইলকে অ্যালার্ম ক্লক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এই কাজটি আপনি আপনার বর্তমান মোবাইল দিয়েও করতে পারেন তবে পুরনো মোবাইল দিয়ে আপনার বাড়ির অন্য সদস্যদের জন্য অ্যালার্ম ক্লক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার গাড়ির ক্যামেরা হিসেবে পুরনো স্মার্টফোনকে ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে দুটি কাজ করতে হবে- গাড়িতে একটি ফোন হোল্ডার বসিয়ে নিতে হবে এবং গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি ড্যাশ ক্যামেরা অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। ব্যস তৈরি হয়ে গেল আপনার গাড়ির ক্যামেরা, যার মাধ্যমে গাড়ির পিছনের অবস্থা দেখে নিতে পারবেন।
আপনার বাড়ির শিশুর জন্য বুক রিডার হিসাবে অব্যবহৃত স্মার্টফোনকে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার মোবাইলের যাবতীয় অ্যাপ আনস্টল করে শিশুদের নাগালের বাইরে রেখে। শিশুদের জন্য উপযুক্ত বই, শিক্ষামূলক ভিডিও বা কার্টুন ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।
ই-রিডার হিসেবে পুরনো স্মার্টফোনকে ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য প্রথমে মোবাইলের সকল অ্যাপ্লিকেশন কেটে দিন। তারপর প্রতিটি রিডিং অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন। তারপর লাইব্রেরী ডাউনলোড করে নিলে আপনার আর ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে না।
পুরনো স্মার্টফোনকে আপনি চাইলে আরো বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন। শুধু পুরনো স্মার্টফোন নয় যেকোনো কিছুই আপনি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে নতুন রূপে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে যেমন অর্থের সাশ্রয় হবে তেমনি আপনার অনেক সুবিধা হবে।