বর্তমান সময়ে সব কিছুই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠা এলার্মের মাধ্যমে তারপর প্রতিদিনের অনেক কাজকর্ম, অনেক কিছুই প্রযুক্তির উপর নির্ভর হয়ে।
এই যেমন রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে আমরা অচেনা পথঘাট চিনে থাকি। কিন্তু বর্তমানে গুগল ম্যাপ আরো বেশি আপডেট হয়েছে। তাছাড়া রাস্তায় আপনার গাড়ির স্পিড কত হবে তা আপনাকে গুগল স্পিডোমিটার জানিয়ে দিবে।
স্পিডোমিটার কি?
যেকোনো গাড়ির তাৎক্ষণিক গতি পরিমাপ করে তা স্ক্রিনে প্রদর্শন করে এমন একটি গেজ হচ্ছে স্পিড মিটার বা স্পিডোমিটার। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে গেজ আবার কি? যে ইন্সট্রুমেন্টের সাহায্যে কোন যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের মাপ নির্ধারিত মাপের লিমিটের মধ্যে আছে কিনা তার চেক করা হয়ে থাকে তাকে গেজ বলে। বর্তমান সময়ে প্রায় সব মোটরগাড়িতে স্পিড মিটার লাগানো থাকে।
স্পিডোমিটার আবিষ্কার করে কে?
ইংলিশ বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজকে স্পিড মিটার তৈরির জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার আবিষ্কৃত প্রতি যন্ত্রটি ইঞ্জিনে লাগানো হতো। তবে বৈদ্যুতিক স্পিডোমিটার আবিষ্কার করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ান জোসিপ বেলুসিয়। আধুনিক স্পিডোমিটারগুলো বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক হয়ে থাকে।
গুগল স্পিডোমিটার আপনার গাড়ির স্পিড মিটার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। অনেক সময় গাড়ির মিটারে হঠাৎ করে সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে আপনি গাড়ির গতি সম্পর্কে ধারণা করতে পারেন না।
যার ফলে রাস্তায় সঠিক গতিতে গাড়ি চালানোতে ব্যাঘাত ঘটে। যদি আপনার গাড়ির স্পিড মিটার ভালো থাকে তাহলে তো সেটাই ব্যবহার করতে পারবেন আর যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে গুগল স্পিডোমিটার ব্যবহার করতে পারবেন।
গুগল স্পিডোমিটার গাড়ির স্পিড মিটার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন
গুগল স্পিডোমিটার অ্যাপে গাড়ির গতিসীমা সেট করে নিলে বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। গাড়ি চালানোর সময় গতিসীমা অতিক্রম করলেই গুগল স্পিডোমিটার আপনাকে সতর্ক করে দিবে। আপনার ফোনের স্ক্রিনের কালার চেঞ্জ হয়ে যাবে। গুগল স্পিডোমিটার ব্যবহার করতে হলে আপনাকে যা করতে হবে-
- প্লে স্টোর থেকে গুগল স্পিডোমিটার অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
- ডাউনলোড করার পর যখন অ্যাপটি ওপেন করবেন তখন গুগল ম্যাপ প্রোফাইলে ক্লিক করুন।
- এরপর নেভিগেশন সেটিং খুলতে নিচে অংশের সেটিংসে ক্লিক করতে হবে।
- তারপর ড্রাইভিং অপশনে গিয়ে স্পিডোমিটারে ক্লিক করুন।
- আপনার নিজের মতো করে গতিসীমা সেট করুন তারপর এটি ব্যবহার করুন।