প্রত্যেক বছরেই ভালোবাসা দিবস পালিত হয় ১৪ ই ফেব্রুয়ারি। এ বছরও খুব ভালোভাবে ভালোবাসা দিবস পালন করেছে প্রেমিক-প্রেমিকারা।
আসলে প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে কথা বলার উদ্দেশ্য হলো মূলত তাদের মাঝে খুব ভালোভাবে ভালোবাসা দিবসের যে প্রকৃতি তা উঠে আসে। একেকজন একেকভাবে ভালোবাসা দিবস পালন করে থাকেন। এর মধ্যে অনেকের জমকালো আয়োজন আবার অনেক সময় উপহারের তালিকা ও থাকে।
তবে উপরের ভূমিকাটা শুধুমাত্র প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে যে ধরনের ভিন্ন মাত্রায় ভালোবাসা দেখা যায় তাই প্রকাশ করে আর কি। কিন্তু ভালোবাসা দিবসে মা-বাবা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন সন্তান বন্ধু-বান্ধব সবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
আসলে এতক্ষণ ধরে বকবক করা মূল উদ্দেশ্য হলো ভালোবাসা দিবস নিয়ে কিছু কথা বলা। ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস কিভাবে হল তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?
নিশ্চয়ই এর পিছনে কোন না কোন কারণ তো অবশ্যই রয়েছে। যেমন একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষা দিবস তো আর এমনি এমনি হয়নি। নিশ্চয়ই এর পিছনে একটি কারণ আছে বলেই একুশে ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস করা হয়েছে। ঠিক তদ্রূপ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস এই ভালোবাসা দিবসের পেছনে কোন না কোন এক ধরনের কাহিনী রয়েছে। আর আজকে এই কাহিনী নিয়েই আলোচনা করবো।
ভালোবাসা দিবসের যে কাহিনী গুলো রয়েছে তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য কাহিনী হলো ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে নিয়ে।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিল সামাজিক, শিশু প্রেমিক এবং একজন সদালাপী লোক। এবং তিনি মূলত খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারী ছিলেন। এবং নিজের ধর্ম খুব ভালোভাবে পালন করতেন এজন্যই তাকে ধর্মযাজক বলা হত। এবং তার সময়ে তখনকার দিনে রোম সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় ক্লডিয়াস। তার মধ্যে যে গুন ছিল তা হলো তিনি দেব-দেবীর পূজা করতেন। তিনি তার ধর্ম পালন করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সম্রাট ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে দেব-দেবীর পূজা করতে বললেন।
এবং ভ্যালেন্টাইন তা বরাবরই অস্বীকার করে দেন। আর নিশ্চয়ই বুঝতে পারতেছেন তো কি হবে? সম্রাট তাকে বন্দী করার আদেশ দেন। এবং পরবর্তীতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দেন। আর এই মৃত্যুদণ্ডের দিনটি ছিল ১৪ ই ফেব্রুয়ারি। এদিকে প্রেমিক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের প্রতি এক প্রকার শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
আসলে এ যাবৎকালের যতগুলো ঘটনা পাওয়া যায় তা মূলত সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে নিয়ে। বিভিন্ন মতের উপর ভিত্তি করে এ ধরনের কাহিনী গুলো সাজানো হয়েছে।
আরো দু’একটি মত রয়েছে এই ভ্যালেন্টাইন কে নিয়ে।
আর সবগুলো ঘটনাকে ঘিরে রয়েছে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি তে তার মৃত্যু দন্ডের কথা।
আসলে ঘটনা যাই হোক না কেন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি তে নিশ্চয়ই আত্মবিসর্জন বা মৃত্যুদণ্ডের মতো কোনো না কোনো ঘটনা অবশ্যই রয়েছে যা আজকে পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক দিবসগুলোতে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, প্রতিটি দিবসের কাহিনীর পিছনে কোন না কোন ত্যাগ স্বীকারের ঘটনা অবশ্যই রয়েছে।