চ্যাট জিপিটি (Chat GPT) বর্তমানে খুবই একটি আলোচিত বিষয় ইন্টারনেট জগতে। আর তাই মানুষ এটি সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী। চ্যাট জিপিটিতে রয়েছে অসংখ্য ডাটা সংগ্রহ, যার ফলে যে কোন প্রশ্ন করলে চ্যাট জিপিটি ভালো মানের উত্তর দিতে সক্ষম।
বর্তমানে এ বিষয় নিয়ে সে ভালো ধরনের একটা চলছে এবং পররবর্তীতে এটি আরও উন্নতি ঘটাবে। চ্যাট জিপিটি নামটি শুনতে অদ্ভুত হলেও কিছু কাজের ক্ষত্রে এটি বেশ পারদর্শী। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা সামনের দিনগুলোতে গুগল সার্চ এর সাথে প্রতিযোগিতা করার মত ক্ষমতা অর্জন করবে।
ডিপ লার্নিং বলতে কী বুঝায়?
বর্তমান সময়ে নিশ্চয়ই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সম্পর্কে শুনে নিয়ে এমন মানুষ খুব কম খুঁজে পাওয়া যাবে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অনেক শাখা রয়েছে যার মধ্যে মেশিন লার্নিং একটি। আর ডিপ লার্নিং হচ্ছে মেশিন লার্নিং এর মূলত একটি অংশ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলতে বোঝায় মানুষের মত কোন যন্ত্রকে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে কাজ করানোর উপায়।
এখন হয়তো ভাবছেন চ্যাট জিপিটি (Chat GPT) এর সাথে ডিপ লার্নিং, মেশিন লার্নিং ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কথা কেন বলা হচ্ছে। কারণ চ্যাট জিপিটি তৈরি করা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) প্রযুক্তির মাধ্যমে। ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি মূলত অনেকটা মানুষের মস্তিষ্কের মত কাজ করে। সবগুলো পোস্টটি পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন কেন এই সকল বিষয় বলা হচ্ছে।
চ্যাট জিপিটি বলতে কী বুঝায়?
চ্যাট জিপিটি (chat GPT) হচ্ছে মূলত ওপেন এআই (openai)। ওপেন এআই হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির একটি টুল।
মানুষকে কোন প্রশ্ন করলে মানুষ যেভাবে উত্তর দিয়ে থাকে, চ্যাট জিপিটিতে যদি আপনি কোন প্রশ্ন করেন তাহলে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তার থেকেও আরো অনেক ভালো উত্তর দিয়ে থাকে। আর এটি মূলত কাজ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে।
চ্যাট জিপিটিতে রয়েছে অসংখ্য ডাটা, আপনার প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী বা কোন কিছুর জানার ধরন অনুযায়ী এটি অসংখ্য ডাটাবেজ থেকে খুঁজে সাথে সাথে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। আর এটি আপনার করা বিভিন্ন তথ্য থেকে নিজেকে আপডেট করে থাকে।
চ্যাট জিপিটির উত্থান কোথায় থেকে এবং ইতিহাস
ইলন মাস্কের সাথে স্যাম অল্টম্যান নামের এক ব্যক্তি চ্যাট জিপিটি (chat GPT) বিষয়ে কাজ শুরু করেন। শুরু করার ১-২ বছর পর আলাভজনক কোম্পানি হওয়ার কারণে ইলন মাস্ক প্রকল্পটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
এরপর প্রকল্পটি মাইক্রোসফট কোম্পানির কাছে যাওয়ার পর মাইক্রোসফট চ্যাট জিপিটিতে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করে। আর এটি প্রোটোটাইপ হিসেবে ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর চালু হয়। অল্টম্যান হচ্ছে ওপেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (openai) প্রদান কর্মকর্তা।
যার মতে, এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে এটি এখন পর্যন্ত।
চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে
চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে চ্যাট জিপিটি ওয়েবসাইট। চ্যাট জিপিটি কোম্পানির ডেভলপার দ্বারা এটিকে বিশেষভাবে আপগ্রেড ও উন্নত মানের করা হয়েছে।
চ্যাট জিপিটিতে যে সকল ডাটা ব্যবহার করা হয়েছে সেখান থেকে আপনার প্রশ্ন সম্পর্কে অনুসন্ধান করে সঠিক উত্তর দিয়ে থাকে। তবে আপনার বিভিন্ন প্রশ্ন, জানার আগ্রহ ও উত্তরের মাধ্যমে এটি নিজের ডেটা স্টোরকে ক্রমাগত আপডেট করে থাকে।
চ্যাট জিপিটির দেওয়া উত্তরে আপনি সন্তুষ্ট কিনা সেই সম্পর্কে মতামত দিতে পারবেন। আর বর্তমানে একে ২০২২ সাল পর্যন্ত আপডেট করা হয়েছে, যেখানে আপনি ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া সকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে পারবেন।
চ্যাট জিপিটির কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে?
চ্যাট জিপিটির কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে, যা একে মানুষের সামনে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে।
চ্যাট জিপিটির বর্তমানে প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে প্রশন-উত্তর। অর্থাৎ আপনি চ্যাট জিপিটিতে যে সকল প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা করবেন চ্যাট জিপিটি তার উত্তরগুলো বিস্তারিতভাবে দেখাবে।
যা একটি খুবই লক্ষনীয় বিষয়। কারণ কোন কিছু জানার থাকলে আপনি এর মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন। চ্যাট জিপিটি রিয়েল টাইমে কাজ করে থাকে, অর্থাৎ আপনি প্রশ্ন করার সাথে সাথে একদম রিয়েল টাইমে উত্তর পেয়ে যাবেন। কারণ এর পিছনে উত্তর দেওয়ার জন্য কোন মানুষ কাজ করে না।
বর্তমানে চ্যাট জিপিটি সুবিধা টি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়, আর এটি মূলত মানুষের সুবিধার জন্য বিনামূল্যে চালু করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এর জন্য চার্য ধার্য করাও হতে পারে।
চ্যাট জিপিটির মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর জানার পাশাপাশি আপনি কোন মানুষের জীবনী, স্ক্রিপ্ট, কনটেন্ট ইত্যাদির মত বিষয়গুলো এর মাধ্যমে লিখে প্রস্তুত করতে পারবেন।
চ্যাট জিপিটি ব্যাবহার করার নিয়ম
বর্তমানে চ্যাট জিপিটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাচ্ছে এবং এর একাউন্ট বিনামূল্যে তৈরি করা যায়। তবে ভবিষ্যতে এমনও হতে পারে এর জন্য চার্য ধার্য করতেও পারে।
>> চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করা ছাড়া আপনি চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করতে পারবেন না।
>> প্রথমে আপনাকেই মোবাইল বা কম্পিউটারের সাহায্যে একটি ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। ব্রাউজারে https://chat.openai.com/ ওয়েবসাইটটিতে ঢুকতে হবে।
>> ওয়েবসাইটটিতে ঢোকার সাথে সাথেই Log in এবং Sign up করা দুইটি অপশন দেখতে পাবেন। যদি আপনার এই ওয়েব সাইটে পূর্বে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা থাকে তাহলে লগইন বাটনে ক্লিক করে লগইন করতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে Sign up বাটনে ক্লিক করতে হবে।
>> Sign up বাটনে ক্লিক করার পর পরবর্তী পেজে একটি ইমেইল এড্রেস দিতে হবে ও গুগল রি-ক্যাপচা পূরণ করে Continue বাটনে ক্লিক করতে হবে।
>> এরপর আপনি যে ইমেইল এড্রেস দিয়েছেন সেই ইমেইল এড্রেসে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠানো হবে। আপনাকে সেই জিমেইন ওপেন করে Verify তে ক্লিক করলে আবারো ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে।
>> এবার আপনাকে একটি অ্যাক্টিভ মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। কারণ সেই মোবাইল নাম্বার একটি ওটিপি কোড যাবে। আপনার মোবাইলের মেসেজ থেকে সেই কোডটি নিয়ে ওয়েবসাইটের ওটিপি কোডের ঘরে বসিয়ে Sing up বাটনে ক্লিক করলেই একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
>> আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলেই আপনি চ্যাট জিটিপি ব্যবহার করতে পারবেন। সেখানে আপনি চ্যাট করার মত একটি বক্স দেখতে পাবেন সেই বক্সে কোন কিছু প্রশ্ন করে সেন্ড করলে আপনি আপনার কাঙ্খিত উত্তর বিস্তারিতভাবে পেয়ে যাবেন।
চ্যাট জিপিটির সুবিধা
চ্যাট জিপিটির ব্যবহার করার পিছনে নিশ্চয়ই কিছু সুবিধা রয়েছে। যার জন্য মানুষ এর ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং এটি ব্যবহার করে।
চ্যাট জিপিটি ব্যবহারে সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে, আপনি এখানে কোন কিছু সার্চ করলে বা কিছু জানতে চাইলে সেই প্রশ্নের উত্তর সাথে সাথে বিস্তারিতভাবে পেয়ে যাবেন। উত্তরগুলো বিস্তারিতভাবে হওয়ার কারণে সেই উত্তর সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য জানা যায়।
চ্যাট জিপিটির আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, চ্যাট জিপিটির প্রদান করা উত্তরে যদি আপনি সন্তুষ্ট না হন তাহলে আপনি উল্টো চ্যাট জিপিটিকে ভালোভাবে উত্তর প্রদান করতে পারবেন। এতে করে চ্যাট জিপিটি যদি উত্তরটি ভাল মনে করে তাহলে সেই ভিত্তিতে সে তার ডাটাবেজ কে ক্রমাগত আপডেট করে থাকে।
বর্তমানে চ্যাট জিপিটি পরিষেবাটিতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে ও ব্যবহার করতে কোন প্রকার চার্জ প্রদান করতে হয় না। অর্থাৎ যেকোনো ব্যবহারকারী এটি বর্তমানে একদম বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারে।
চ্যাট জিপিটির অসুবিধা
চ্যাট জিপিটির অসুবিধাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এটি বর্তমানে শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষায় কাজ করে থাকে। সুতরাং যারা ইংরেজি ভাষায় কোন কিছু সার্চ করে থাকে তাদের জন্য এটি কার্যকর। তবে অবশ্যই ভবিষ্যতে অন্যান্য ভাষা ও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
চ্যাট জিপিটিতে বর্তমানে এমন অনেক প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর আপনি পাবেন না। কারণ ক্রমাগত এটিকে আপডেট করা হচ্ছে। কারণ ২০২২ সালের শুরুর দিকে এর প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে, তাই ২০২২ সালের মার্চ মাসের পর থেকে আপনি খুব কম সংখ্যক তথ্য পাবেন এর কাছ থেকে। কারণ একে ২০২২ সাল পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে।
চ্যাট জিপিটির আরও গবেষণা ও প্রশিক্ষণ শেষ হলে ব্যবহারকারীকে ভবিষ্যতে এটি ব্যবহার করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। তবে বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ভবিষ্যতে কত টাকা চার্জ হবে সেই বিষয়ে কোন তথ্য নেই।
চ্যাট জিপিটি কি কি করতে পারে
- ফলো-আপ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
- কখনও কখনও ভুল উত্তর দিতে পারে।
- ইতিহাস খুজে বের করতে পারে।
- কোডিং সমস্যার সমাধান করে দিবে।
- কোড লিখে দিবে।
- সাধারন জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর দিবে।
- প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিতে পারে।
চ্যাট জিপিটি কেনো গুগলকে পিছনে ফেলে দেবে
বর্তমানে যদি বলা হয় চ্যাট জিপিটি কি গুগলকে পিছনে ফেলে দেবে? উত্তর হবে না!! কারণঃ
গুগলের তুলনায় বর্তমানে চ্যাট জিপিটিতে সীমিত সংখ্যক কিছু তথ্য রয়েছে। আবার এটি ব্যবহার করার জন্য বর্তমানে বেশি অপশন নেই।
চ্যাট জিপিটিতে কোন মানুষ ততটুকু উত্তর পাবে যতটুকু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চ্যাট জিপিটি শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার করা সম্ভব। যেখানে google পৃথিবীর প্রায় সকল ভাষায় ব্যবহার করা সম্ভব।
চ্যাট জিপিটিতে আপনি যেই প্রশ্ন করবেন তার কাছে তথ্য থাকলে আপনি সেই বিষয়ে জানতে পারবেন। গুগলের কাছে বর্তমানে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এলগরিদম সিস্টেম, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী কি সার্চ করতে চাচ্ছেন, ব্যবহারকারীর ইচ্ছা কি, ব্যবহারকারী কি খুঁজে পেতে চায় খুব সহজে বুঝতে পারে।
আর তাছাড়া গুগলে কাছে বর্তমানে রয়েছে অসংখ্য তথ্য যেখানে মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রমাগত তথ্য আপডেট করে যাচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
যখন গুগলে আপনি কোন কিছু সার্চ করেন তখন গুগলে সার্চ এর উপর ভিত্তি করে অনেকগুলো ওয়েবসাইট সামনে আসে। সেখানে আপনি একেক ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়ে থাকেন। কিন্তু চ্যাট জিপিটিতে আপনি কোন কিছু প্রশ্ন করলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উত্তর দেওয়া হয়।
সকল কিছু বিবেচনা করলে দেখবেন, চ্যাট জিপিটি বর্তমানে কোনভাবেই গুগলকে টেক্কা দিতে পারবে না। তবে ভবিষ্যতের কথা বলা যায় না, ভবিষ্যতে একে আপডেট করে আরো উন্নত করা হবে।
যদি চ্যাট জিপিটি ক্রমাগত নিজেকে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে উন্নত করতে থাকে তাহলে হয়তো গুগলকে পেছনে ফেলতেও পারে। যেখানে বর্তমানে কারো এই বিষয়ে কোনো ধরনের ধারণা নেই। কারণ চ্যাট জিপিটি ভবিষ্যতের জন্য কি প্ল্যান করছে শুধুমাত্র তারাই জানে।
চ্যাট জিপিটি কেনো মানুষের চাকরি কমাবে
বর্তমানে চ্যাট জিপিটির কারণে কোন মানুষের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা নেই। কারণ বর্তমানে চ্যাট জিপিটি ১০০% সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম নয়। তবে বিভিন্ন সময়ে অনেক ধরনের প্রযুক্তি এসেছে যার কারণে মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে। আবার বিভিন্ন ধরনের নতুন প্রযুক্তির কারণে অনেক মানুষের চাকরির ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে।
তবে চ্যাট জিপিটি যদি নিজেকে ক্রমাগত আপডেট করতে থাকে তাহলে অনেক প্রযুক্তিকে পিছনে ফেলতে সক্ষম হবে এবং এর মাধ্যমে কয়েক ধরনের মানুষের চাকরি হারানো সম্ভব না থাকবে। বিশেষ করে যারা প্রশ্ন-উত্তর সম্পর্কিত কাজ করে থাকে। কারণ এর মাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষ প্রশ্ন করেও উত্তর জানার জন্য।
আর চ্যাট জিপিটি যেহেতু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিতে কাজ করে, তাই এখানে উন্নতিকরণের অনেক জায়গা রয়েছে। যেখানে একে ক্রমাগত আপডেট করা হলে মানুষ অন্যান্য মানুষকে হায়ার না করে বা চাকরি না দিয়ে এর মাধ্যমে তাদের কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকবে।
আর যদি এটি নিজেকে ভালোভাবে আপডেট করে তাহলে অবশ্যই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসবে যার ফলে মানুষ আরো বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারবে।