কাসাভা ফলে মূলত শিকড় রয়েছে আর এটি এক ধরনের আলু। এই ফলগুলো সচরাচর পাহাড়ের জন্মে থাকে। কাসাভা আলুর আরেকটি পরিচয় হচ্ছে শিমুল আলু। যে সকল জমিগুলো উর্বরতা কম সেখানে এই আলুর চাষ হয়ে থাকে।
কাসাভা আলুর রোপণ এবং সংগ্রহের সময়কাল
কাসাভা আলু পাহাড়ি জমিতে চাষ করা যায়। বাংলাদেশের যে সকল এলাকায় পাহাড় রয়েছে এবং যেখানে চাষবাস হয় না ওরকম জায়গায় কাসাভা আলু চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রাণ এগ্রো বিজনেস। কন্দাল জাতীয় এই আলু নভেম্বর থেকে মে মাসের মধ্যে চাষ করা হয় এবং ফসল সংগ্রহ করা হয়।
বাংলাদেশের কোথায় কাসাভা আলুর চাষ করা
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কাসাভা আলুর চাষ হয় তবে বিশেষ করে যেসব এলাকায় পাহাড় রয়েছে সেখানে এই আলুর চাষ করা হয়। যেমনঃ খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জামালপুর ইত্যাদি। তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার বাড়ির আশেপাশে যেসল জমিতে চাষবাস করা হয় না সেখানে কাসাভা আলু চাষ করতে পারেন।
বাংলাদেশের বছরে কি পরিমান কাসাভা আলু উৎপাদন করা হয়
বছরে হিউজ পরিমাণ কাসাভা আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি একর জমিতে প্রায় ৬ টন কাসাভা আলুর ফলন সম্ভব। আর বছরে প্রায় ৩০ হাজার টন কাসাভা উৎপাদন করা সম্ভব।
কাসাভা আলু দিয়ে কি কি তৈরি করা হয়
উন্নত মানের স্টার্চের উৎস হচ্ছে কাসাভা আলু। এই কাসাভা আলু দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা হয়। আপনি জানলে অবাক হবেন যে কাসাভা দিয়ে সুজি, নুডুলস, কেক, রুটি বা পাউরুটি, বিস্কুট, পাপড়, ক্র্যাকার্স ইত্যাদি তৈরি করা হয়। তাছাড়া গ্লুকোজ, বার্লি সহ আরো নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা হয়। তাছাড়া আপনি চাইলে গোল আলুর মতো কাসাভা আলুর বর্তমানে খেতে পারেন।