২৪ শে জুন মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে নতুন উইন্ডোজ ১১ ঘোষণা করা হয়েছে। বেশ কিছু নতুন সুবিধার স্বার্থে এই অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত করার ঘোষনা দেওয়া হয়। যেখানে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর সমর্থন সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য।
তবে খুশির খবর হল উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে নতুন অপারেটিং সিস্টেমের সরাসরি হালনাগাদ করতে পারবেন। এর জন্য কোন রকমের অতিরিক্ত খরচ করার দরকার হবে না।
আমরা সবাই জানি যে, উইন্ডোজ ১০ আসার আগে যারা উইন্ডোজ ৭ ও ৮ ব্যবহার করতো তাদের জন্য সীমিত সময়ের ভিত্তিতে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার সুবিধা দিয়েছিল মাইক্রোসফট। এবারও তাই উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা সরাসরি কম্পিউটার থেকে উইন্ডোজ ১১ ইন্সটল করতে পারবেন।
কিন্তু উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করার জন্য আপনার কম্পিউটারের ন্যূনতম একটি কনফিগারেশন থাকতে হবে। যেই কনফিরারেশন গুলো আপনার কম্পিউটারে থাকলে কেবলমাত্র উইন্ডোজ আপডেট অপশন সচল রাখার মাধ্যমে উইন্ডোজ ১১ তে আপগ্রেড হতে পারবেন। যদি আপনার কম্পিউটার উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করার জন্য নূন্যতম হার্ডওয়ার থাকে।
উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করার মিনিমাম কনফিগারেশন
- উইন্ডোজ ১১ ইন্সটল করার জন্য আপনার ডিভাইসে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করার প্রসেসর থাকতে হবে।
- র্যাম লাগবে কমপক্ষে ৪ জিবি
- এবং হার্ডডিক্সে ৬৪ জিবি ফাঁকা জায়গা থাকতে হবে।
উইন্ডোজ ১১ চালু করা হয় কবে
মাইক্রোসফট কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ উইন্ডোজ ১১ চালু করা হয়েছে ৫ অক্টোবর, ২০২১ সালে। উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে নতুন এই ভার্শনটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটি আমাদের জন্যে পরিচ্ছন্ন এবং সহজতর করে তৈরি করেছে মাইক্রোসফট। যার ফলে যাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞতা নেই তারাও এটি সহজে বলতে পারবে।
উইন্ডোজ ১১ তে নতুন যেসব ফিচার যোগ করা হয়েছে
মাইক্রোসফটের নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমের নকশায় সুনির্দিষ্ট কিছু করা হয়েছে। টাস্কবারের মাঝামাঝি জায়গায় অর্থাৎ কেন্দ্রে ডিফল্ট আকারে স্টার্ট মেনু থাকবে। সেই সাথে অন্যান্য আইকনও থাকবে।
আপনি যখন স্টার্ট বাটনে ক্লিক করবেন তখন যে অ্যাপস গুলো আপনি বেশি ব্যবহার করেছেন সেগুলোর একদিন পিচার সামনে চলে আসবে। এটা অনেকটা স্মার্টফোনের অ্যাপ মেন্যুর মতো দেখা যাবে।
উইন্ডোজ ১১ এর মেন্যু এবং ফোল্ডার দেখার ব্যবস্থা আগের থেকে সহজ করা হয়েছে। পুরো সিস্টেমে গোলাকার কোনসমৃদ্ধ নকশা করা হয়েছে। উইন্ডোজগুলোকে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে এবং গ্রিডে ভাগ করার অপশনটি আরো চমৎকার ও উন্নত করা হয়েছে।
উইন্ডোজ ৭ এর পূর্বে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ভিস্তার গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার উইজেট পুনরায় উইন্ডোজ ১১ তে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তখন উইজেট স্ক্রিনে যেকোনো জায়গায় রাখে যেত কিন্তু নতুন অপারেটিং সিস্টেমের উইজেটগুলো বামপাশের একটি সাইডবারে ফিক্সড থাকবে। মাইক্রোসফট সার্ভিসের সাথে এগুলো যুক্ত থাকবে।
পূর্বে মাইক্রোসফটে স্কাইপ ব্যবহৃত হতো কিন্তু এখন মাইক্রোসফটের নতুন আবিষ্কার মাইক্রোসফট টিমস যোগ করা হয়েছে। সেইসাথে এক্সবক্স অ্যাপে নতুন সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে।
উইন্ডোজ স্টোরকে পুরোপুরি নতুনভাবে সাজানো হয়েছে, এখান থেকে থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন বিক্রির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। উইন্ডোজ ১১ এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে স্মার্টফোনের জন্য তৈরিকৃত অ্যাপস গুলো এই অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। অ্যামাজন অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে এটা করা যাবে।
উইন্ডোজ এর নতুন এই ভার্সনে সার্চ ব্যবস্থা বা অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান ব্যবস্থাটি আগের চাইতে ফাস্ট কাজ করে। তবে ওয়েব অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে microsoft-এর নিজস্ব সেবা বিং(Bing) এবং এজ(Edge) ব্রাউজারকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
গেম খেলার জন্য মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১১ এবার গুরুত্ব দিয়েছে। নতুন ড্রাইভ প্রযুক্তি সরাসরি স্তরেজ গেম লোডের সময় কিছু বাড়তি সুবিধা দেবে। তবে এর জন্য নতুন হার্ডওয়ারের দরকার হবে।
সম্পত্তির মাইক্রোসফট তাদের নতুন কিছু হার্ডওয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। যা উইন্ডোজ ১১ এর সাথে সম্পর্কিত। তবে যারা উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করছেন তাদের জন্য রয়েছে সুখবর, যদি আপনার কম্পিউটার সচল থাকে তাহলে নতুন হার্ডওয়ারের জন্য খরচ করতে হবে না।