মাথাব্যথায় ভোগে নাই এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কারণ এটি একটি কমন সমস্যা তাই অনেকে আমরা মাথাব্যথা কে গুরুত্ব দেই না। কিন্তু আপনি কি জানেন অনেক জটিল এবং মারাত্মক রোগের উপসর্গ হচ্ছে এই মাথা ব্যথা।
আরেকটি মজার তথ্য হচ্ছে দুইশত এর বেশি রকমের মাথাব্যথা রয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষতিকর নয়। তবে কিছু কিছু মাথাব্যথা রয়েছে যেগুলো জন্য মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
মাথাব্যথা (Headache) খুবই খারাপ একটি সমস্যা। যখন মাথাব্যথা শুরু হয় তখন কোনো কিছুই যেন ভালো লাগেনা। কখনো না কখনো জীবনে নিশ্চয়ই মাথা ব্যাথা সমস্যায় পড়েছেন।
মাথাব্যথা সমস্যার পেছনে অনেক ছোট ছোট কারণও হতে পারে আবার অনেক বড় ধরনের কারণও হতে পারে। তবে এই বিষয়ে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
মাথা ব্যথা বলতে সমস্ত মাথা যে ব্যাথা করে এমন নয় বিষয়টি। বরং মাথার যে কোন একটি নির্দিষ্ট অংশে ব্যথা করতে থাকে। আর যেহেতু আমাদের শরীরে প্রতিটি কার্যকলাপ সম্পূর্ণ হয় মাথার মস্তিষ্ক থেকে। তাই মাথা ব্যাথা হলে যেন কোন কিছুই ভালো লাগে না।
মাথা ব্যথার কারণ কি হতে পারে
মাথাব্যথার পেছনে বিভিন্ন ধরনের কারণ হতে পারে। হতে পারে সেটা ছোট কোনো কারণ কিংবা বড় কোনো কারণ। মাথা ব্যাথাকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা যায় প্রাইমারি মাথাব্যথা এবং সেকেন্ডারি মাথাব্যথা। সব ধরনের মাথা ব্যথার মধ্যে ৯০ ভাগ মাথা ব্যথাই প্রাইমারি মাথা ব্যাথার অন্তর্ভুক্ত যা সাধারণ এবং এটা বারবার হয়। আর সেকেন্ডারি মাথাব্যথার মধ্যে কিছু কিছু মাথা ব্যথা মারাত্মক আবার কিছু মারাত্মক নয়।
হঠাৎ মাথা ব্যথার চিকিৎসা বা সমাধান
মাথাব্যথা থেকে সাথে সাথে মুক্তি পেতে বিভিন্ন পেইন কিলার যেমন প্যারাসিটামল, এনেসিস, নেপ্রসিন ইত্যাদি সেবন করা যেতে পারে। তাছাড়া বিশ্রাম নিলে আপনার মাথা ব্যাথা আস্তে আস্তে কমতে পারে। কপালের দুই পাশের রগ বা ঘাড়ে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যাথা খানিকটা কমে যাবে। তাছাড়া ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে কিছুটা আরাম পাবেন।
অধিক চিন্তার কারনে মাথা ব্যাথা
আমাদের মধ্যে অনেক মানুষের বিভিন্ন কারণে চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। মাথা ব্যথার একটি প্রধান কারণ এর মধ্যে হচ্ছে দুশ্চিন্তা। অতিরিক্ত চিন্তার ফলে মাথাব্যথা শুরু হয়। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে চিন্তার কারণে। এই যেমন টাকা পয়সার চিন্তা, পড়ালেখার চিন্তা, কাজের চিন্তা, পারিবারিক চিন্তা ইত্যাদি।
চিন্তার কারনে মাথা ব্যাথা চিকিৎসা বা সমাধান
শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই, চিন্তা করলে সবকিছু পেয়ে যাবেন না আবার ঠিকও হয়ে যাবে না। মনে রাখবেন আল্লাহ যা কিছু করে আপনার ভালোর জন্যই করেছে। আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন সর্ব উত্তম পরিকল্পনাকারী। আর সারা সপ্তাহ কাজ করার ফলে ছুটির দিনে ৮ ঘন্টার বেশি ঘুমাতে যাবে না।
কারন অতিরিক্ত ঘুমানোর কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। বেশি চিন্তা না করে মনকে ইতিবাচক রাখবেন এবং ভালো বিষয় নিয়ে ভাববেন তাহলে মাথা ব্যথা কমে যাবে।
চোখের সমস্যার কারনে মাথা ব্যথা
মাথাব্যথা শুধু মাথায় আটকে থাকে না। অনেক সময় চোখের কারণে মাথা ব্যথা দেখা দেয়। বর্তমানে অনেক মানুষের ছোটবেলা থেকেই চোখের সমস্যা দেখা দেয়। তাই বলা যায়, অনেক সময় চোখের সমস্যার কারণেও বা চোখের কারণে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে থাকে।
চোখের সমস্যার কারনে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা বা সমাধান
যদি চোখের সমস্যার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। একটানা মোবাইল বা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। কারণ এগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে সমস্যা হতে পারে। কম আলোতে মনোযোগ দিয়ে কিছু পড়তে যাবেন না। কারণ এতে চোখের উপরে প্রেসার পড়ে।
মাইগ্রেনের কারণে মাথা ব্যথা
সাধারণত নারীরা মাইগ্রেন সমস্যায় বেশি ভুগেন। বিশেষ করে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের মেয়েদের মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দেয় এবং এই সমস্যা ৫০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। মাইগ্রেনের সমস্যা মাথা ব্যথা হলে যে লক্ষণগুলো দেখা দিবে- মাথার একপাশে ব্যাথা করবে, পরেরবার আবার অন্য পাশে ব্যথা করবে।
৪ চার ঘন্টা থেকে তিন দিন পর্যন্ত ব্যথা করতে পারে এবং ব্যথার তীব্রতার পরিমান এতো হবে যে ঠিকমতো কাজ করতে পারবেন না। ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। আলো বা শব্দের কারণে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে আবার অন্ধকারে শুয়ে থাকলে ব্যথা কমে যেতে পারে।
মাইগ্রেনের কারনে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা বা সমাধান
মাথা ব্যাথার সাথে যদি আলো বা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা হয় অথবা বমি বমি ভাব হয় আর এ সমস্যা যদি পাঁচ বার বা এর বেশি হয় তাহলে বুঝে নিবেন আপনি মাইগ্রেনের ব্যথা আক্রান্ত। মাইগ্রেনের ব্যথায় তাৎক্ষণিক এবং প্রতিরোধক এই দুই ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তাৎক্ষণিক চিকিৎসার সাথে সাথে ব্যাথা কমানোর জন্য ওষুধ দেয়া হয়। আর প্রতিরোধক চিকিৎসায় ব্যথা যেন না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া। যেসব কারণে ব্যথা হয় সেগুলো যদি এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
জমে থাকা রাগের কারণে মাথা ব্যথা
আমরা যখন কোন বিষয় নিয়ে রেগে যাই তখন আমাদের ঘাড়ের পিছনের মাংসপেশী ও মাথার ত্বক টানটান হয়ে মাথায় চারদিকে একটা চাপ অনুভূত হয়। মনে হয় মাথায় একটি টাইট ব্যান্ড পড়ে আছি। এরকম জমে থাকা রাগের কারনে অনেক সময় মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
রাগের কারণে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা বা সমাধান
যখনই আপনার কোন বিষয় নিয়ে রাগ ওঠা শুরু হবে তখন ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে বের করে দিন এর ফলে আপনার মাথা ও ঘাড়ের পেশি শিথিল হবে। রাগ উঠলে কোথাও বসে পড়ুন তাহলে রাগ কমে যাবে।
অস্বাস্থ্যকর দেহভঙ্গির কারণে মাথা ব্যথা
অস্বাস্থ্যকর দেহভঙ্গি যেমন কুঁজো হয়ে বসার কারণে পিঠের উপরের দিকে, ঘাড়ে, কাঁদে চাপ সৃষ্টি হয় যা থেকে মাথাব্যথা হতে পারে। আর অস্বাস্থ্যকর দেহভঙ্গির কারণে মাথা ব্যাথা হলে মাথার নিচের দিকে ব্যাথা করে। অনেক সময় মুখমণ্ডল বিশেষ করে কপালের দিকে ব্যথা অনুভূতি হয়।
দেহভঙ্গির কারণে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা বা সমাধান
একই ভঙ্গিতে অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। বসার সময় সোজা হয়ে কোমরে সাপোর্ট দিয়ে বসুন। দীর্ঘ সময় ধরে মাথা ও কাজের মাঝামাঝি ধরে ফোন ব্যবহার করলে মাংসপেশিতে চাপ পড়ে মাথা ব্যাথা হতে পারে। আপনাকে এসব অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং আপনি চাইলে একজন ফিজিক্যাল থেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন।
পারফিউম বা সুগন্ধি থেকে মাথা ব্যথা
বাড়িঘর বা আসবাবপত্র ইত্যাদি পরিষ্কার কাজের সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা, শরীরে পারফিউম ব্যবহার করা, রুমে বা টয়লেটে সুগন্ধি এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব জিনিসে অনেক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা মাথা ব্যথার জন্য দায়ী হতে পারে।
বিভিন্ন সুগন্ধি কারণে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা বা সমাধান
নির্দিষ্ট কোন ঘ্রাণের কারণে যদি মাথাব্যথা হয় তাহলে সেই ঘ্রাণযুক্ত সাবান, শ্যাম্পু, পারফিউম ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সেই সাথে বাড়িতে ঘ্রাণহীন ডিটারজেন্ট এবং এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন।
খারাপ আবহাওয়া থেকে মাথা ব্যথা
আমাদের মধ্যে মধ্যে অনেকের ঘন ঘন মাথাব্যথা করে। তাহলে আপনি খেয়াল করুন যে- ঝড় বৃষ্টি হলে বা গরম পরলে ইত্যাদি নির্দিষ্ট কোনো আবহাওয়ায় মাথাব্যথা শুরু হয় কি না। আবহাওয়া পরিবর্তন হয় বায়ুর চাপের পরিবর্তনের কারণে। আর এই সময় স্নায়ু উত্তেজিত হয়ে মাথা ব্যাথা হতে পারে।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা বা সমাধান
আবহাওয়া প্রাকৃতিক নিয়মে পরিবর্তন হয় এতে আমাদের কোনো হাত থাকে না। আমরা চাইলেও আবহাওয়া পরিবর্তন করতে পারবো না। তাই আবহাওয়া পূর্বভাস জেনে আপনি আগে থাকতেই ব্যাথা নাশক সব ওষুধ সাথে রাখতে পারেন।
উজ্জ্বল আলো থেকে মাথা ব্যথা
দ্রুত জ্বলতে আর নিভতে থাকে এরকম উজ্জ্বল ও ঝলমলে আলো থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। কারণ এরকম আলো মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে মস্তিষ্কের মাইগ্রেনের কেন্দ্রটি সচল হয়ে যায়।
আলোর তীব্রতার কারণে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা বা সমাধান
ঘর থেকে বাহির হওয়ার সময় সানগ্লাস এবং ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতার মাত্রা ঠিক করে নিতে হবে। আপনার বাসা এবং অফিসের যেই পাশে বা রুমে কম লাইট আছে এরকম জায়গায় থাকতে পারেন।
যৌন সহবাস থেকে মাথাব্যথা
অনেক নারী-পুরুষের যৌন মিলনের সময় উত্তেজনার কারণে মাথাব্যথা সমস্যা দেখা দেয়। ডাক্তারেরা মনে করছেন যে মাথা ও ঘাড়ের মাংস পেশিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। আর এই মাথাব্যথাটা মিলনের প্রথমে অথবা শেষে যেকোনো সময় হতে পারে।
সহবাসের কারণে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা বা সমাধান
যৌন মিলনের সময় এরকম মাথা ব্যথা তেমন ক্ষতিকর নয়। মিলনের সময় তাড়াহুড়া করবেন না। আপনার মাথা ও ঘাড়ের পেশীতে যেন টান না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করবেন।
স্নায়ুগত সমস্যা থেকে মাথাব্যথা
বিভিন্ন স্নায়ুভিত্তিক কারণে মাথার একপাশে ব্যথা হতে পারে। অ্যাকসিপিটাল নিউরালজিয়া, স্পাইনাল কার্ড এবং টেমপোরাল আর্টেরাইটিস এই তিন ধরনের মাথাব্যথা স্নায়ু জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। এ ধরনের মাথাব্যথার অনুভূতিটা হয় দপদপানি, মাথা ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করছে এমন, ত্বকের মাঝামাঝিতে ব্যথা মাথা ও ঘাড়ে ব্যথা।
অন্যান্য সমস্যার কারণে মাথাব্যথা
ধুমপান বা মদ্যপান করা, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করা, রোদ বা গরম আবহাওয়া অবস্থান করা, অতিরিক্ত মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রম করা, ক্ষুধার্ত থাকা ইত্যাদি কারণেও মাথাব্যথা হয়ে থাকে। সুতরাং আপনি যদি চান আপনার মাথা ব্যথার সমস্যা না হোক তাহলে এ সকল বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে সবার আগে।
মাথা ব্যাথা হলে কি করবেন
মাথা ব্যথার ওষুধ এর জন্য সর্বপ্রথম মাথাব্যথার কারণ চিহ্নিত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। মাথাব্যথা জটিল একটি সমস্যা। এর সঠিক কারণ আইডেন্টিফাই না করে ওষুধ দিলে ফলাফল ভালো নাও হতে পারে।
বিভিন্ন সমস্যাগুলোর মধ্যে মাথা ব্যাথা একটি বড় সমস্যা, কারন মাথার জ্ঞান থেকে আমাদের প্রতিটি কাজ সম্পন্ন হয়। সেই মাথা যখন ব্যাথা করে তখন খুব খারাপ লাগে। অল্প মাথা ব্যাথা করলে তাতে হয়তো তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু যদি অনেক দিন ধরে বা প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করে তখন তা ভয়ের কারন।
আপনার কি ধরনের মাথা ব্যথা তা প্রথমে যাচাই করে নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাথাব্যথা ওষুধ সেবন করতে হবে। মাথা ব্যাথা থেকে পরিত্রাণ পেতে ঠিকমত বিশ্রাম নিতে এবং ঘুমাতে হবে।
আপনার মাথা ব্যাথা হতে পারে অন্যান্য মেডিসিন ইফেক্ট এর কারনে। অতিরিক্ত ব্যাথা নাশক ওষুধ সেবনের ফলেও মাথাব্যথা হতে পারে। উত্তেজক ওষুধ বর্জন করতে হবে।
চোখে কোন সমস্যা থাকলে মাথা ব্যথা করে। আপনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চোখের চিকিৎসা নিতে পারেন বা ০.২৫ সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন কিছুদিন ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
তবে আপনি আপাতত প্যারাসিটামল জাতীয় মেডিসিন নেন যেমন নাপা, নাপা এক্সট্রা এসব মেডিসিন নেন। আসা করি মাথা ব্যথা কমে যাবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অন্য কোন মেডিসিন নিজে থেকে নিবেন না।
আপনি আপাতত নাপা, নাপা এক্সট্রা মেডিসিন নেন। ব্যথা না কমলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। আর সম্ভব হলে আপনি মাথা ধুয়ে নিবেন ও মাথায় নবরত্বন তেল দিয়ে মালিস করে নিবেন।
তাছাড়া মাথা ব্যাথার বর্তমানে অনেক ভালো ভালো মলম বা বাম রয়েছে সেগুলো কপালের অংশে মালিশ করতে পারেন। যদি তবুও মাথা ব্যাথা না কমে তাহলে দ্রুততর একজন অভিজ্ঞ বা ভালো ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
মাথা ব্যথা হলে ডাক্তার দেখাবেন কখন
- যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘন ঘন মাথা ব্যথা হবে।
- মাথাব্যথা হলে প্রচন্ড রকমের মাথা ব্যথা অর্থাৎ বেশি গুরুতর ব্যথা অনুভূতি হবে।
- সাধারণ ব্যথার ওষুধ খাওয়ার পরও ব্যথা ভালো না হওয়া বা উন্নতি না হওয়া।
- ব্যথার কারণে দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক কাজকর্ম করার অবস্থায় না থাকা।
- ব্যথার কারণে কথা বলতে, হাঁটতে, দেখতে সমস্যা হলে।
মাথা ব্যথা করলে যে দোয়া পড়বেন
ইসলাম হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে এখানে। বিভিন্ন সমস্যার জন্য প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিভিন্ন দোয়া ও আমল শিখিয়ে গিয়েছেন।
আপনি যদি আল্লাহর একজন মুমিন বান্দা হয়ে থাকেন তাহলে যেকোনো সমস্যার জন্য দোয়া বা আমল করলে ইনশাল্লাহ আল্লাহতালা সেই দোয়ার উসিলায় আপনাকে মাফ করে দিবেন। চলুন দেখে নিই কোন দোয়া পড়লে মাথাব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
