অন্য সময়ের মতোই আপনি ফেসবুকে কমেন্ট করছেন, শেয়ার দিচ্ছেন পোস্ট কিংবা স্টোরি দিচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ করে দেখলেন আপনার আইডিটি তিন দিন, এক সপ্তাহ কিংবা এক মাসের জন্য রেস্ট্রিক্টেড হয়ে গেছে।
তখন স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ হয়ে যাবে। তাছারা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আইডিতে পোষ্ট, শেয়ার, লাইক/কমেন্ট করতে না পারার কষ্ট ও থাকবে। কিন্তু কি কারণে আইডি ডিজেবল কিংবা রেস্ট্রিক্টেড হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। যার কারণে আমাদের কে আইডির স্বাধীনতা হারীয়ে বন্দী থাকতে হয়।
ফেসবুকের নতুন নিয়মে এখন অনেকেরই আইডি রেস্ট্রিক্টেড হচ্ছে। চলুন জেনে নেই যে কারণে ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিকক্টেড হতে পারে।
ফেসবুক আইডি ডিজেবল অথবা রেস্ট্রিক্টেড হয় যে কারণে
বর্তমানে কয়েকটি কারণে ফেসবুক আইডি ডিজেবল অথবা রেস্ট্রিক্টেড হচ্ছে।
ফেসবুকে ভিপিএন কানেক্ট থাকা অবস্থায় ফেসবুকে লগ ইন অথবা লগ আউট করলে আইডিটি রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যেতে পারে। একই নাম ও প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করে একের অধিক আইডি ব্যবহার করলেও আইডিটি রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যেতে পারে।
কোন রক্তাক্ত ছবি বা ভিডিও পোস্ট করলে অথবা কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য পোস্ট কিংবা কমেন্ট করলে।
কিছু শব্দ যেগুলো ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ করা এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করে কমেন্ট কিংবা পোস্ট করলে সাথে সাথে এই আইডিটি রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যাবে। এমন কোন শব্দ যাতে অনেক রিপোর্ট হয়েছে সেই শব্দগুলো অন্য কেউ ব্যবহার করলে সেটাও ভায়োলেন্স হিসেবে ধরা হয়।
১৮+ কিংবা অশ্লিল কোন ছবি, ভিডিও বা শব্দ কোন পোস্ট শেয়ার করলে আইডিটি রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যাবে।
কাউকে মজা করে গালি কিংবা হুমকি দিলে ফেইসবুকের অ্যালগরিদম সত্যি ভেবে আইডি রেস্ট্রিকটেড করে দিবে। অ্যালগরিদম মজা বোঝে না।
ফেইসবুকের বিপক্ষে কিছু লিখে তা আবার ফেইসবুকেই পোষ্ট করলে আইডি ডিজেবল হয়ে যাবে।
এ ধরনের কাজ করলে প্রথমে ওয়ার্নিং সহ পরবর্তীতে আবার একই কাজ করলে শাস্তি সরূপ আইডি দীর্ঘমেয়াদে রেস্ট্রিকটেড হয়। আইডি রেস্ট্রিকটেড হলে নির্দিষ্ট দিনব্যাপী কোন রিঅ্যাক্ট, কমেন্ট, ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট কিংবা পোস্ট করা যায়না। এমনকি গ্রুপের সদস্যও হওয়া যায়না। বারবার রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার ফলে গ্রুপ কিংবা আইডির পোস্টের রিচ কমে যায়।
উপরিওক্ত কাজ গুলো থেকে বিরত থাকলে আইডি রেস্ট্রিকটেড বা ডিজেবল হোয়া থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।