বর্তমানে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় কারণ এর মাধ্যমে ঘরে বসে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। দেশের যেকোনো স্থান থেকে এই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজটি করা যায়। বর্তমানে আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা ইনকাম করছে।
বর্তমানে অনেক মানুষ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত। তবে যারা নতুন অনেকে দুশ্চিন্তায় থাকে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে উত্তোলন করা যায়। একদম নতুন ফ্রিল্যান্সার যারা তাদের বিষয়টি ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন।
অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সাররা বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের অর্জিত টাকা আপনি অনেক উপায় দেশে নিয়ে আসতে পারবেন। আপনি যদি কোনো মার্কেটপ্লেসের সাথে যুক্ত থাকেন বা কাজ করেন তাহলে সেখান থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
বর্তমানে যারা বড় বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন, Fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে তাদের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পাওনা টাকা সেই ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টে জমা থাকে। নিয়ম অনুযায়ী মাসের শেষে বা মাসের মাঝামাঝি কিংবা যে কোন সময় আপনি সেই টাকা বিভিন্ন উপায়ে দেশে নিয়ে আসতে পারেন।
নিচে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা উত্তোলনের কয়েকটি উপায় দেখানো হলোঃ
ব্যাংকে সরাসরি টাকা নিয়ে আসা (Bank to Bank Wire Transfer):
মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা উত্তোলনের একটি নির্ভরযোগ্য উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার। এই পদ্ধতিতে অল্প সময়ে সম্পূর্ণ টাকা সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে এসে জমা হবে। এ পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলনের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটে নিন্মে উল্লেখিত তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে,
আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার, ব্যাংকের ঠিকানা, ব্যাংকের SWIFT Code.
ব্যাংকের Swift Code গুলো পাবেন উক্ত ওয়েবসাইটে
www.theswiftcodes.com/bangladesh
পেওনিয়ার ডেবিট মাস্টারকার্ড (Payoneer Debit Mastercard) :
উপরের পদ্ধতি থেকে সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হলো Payoneer Debit Mastercard । এই পদ্ধতি যেহেতু আমাদের বাংলাদেশে চালু রয়েছে তাই এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে টাকা নিয়ে আপনি খুব দ্রুত পৃথিবী যেকোনো স্থান থেকে ATM এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
এই Payoneer সুবিধাটি ব্যবহার করার জন্য আপনার বছরে এককালীন খরচ পড়বে ২৯ ডলার। অথবা মাসিক খরচ পড়বে ৩ ডলার। তবে প্রতিবার ATM থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য খরচ পড়বে ২-৩ ডলারের মত।
এই সুবিধাটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর সেই সাইটের মাধ্যমে Payoneer সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট করতে হবে। এরপর ১৫-২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় একটি মাস্টার কার্ড চলে আসবে।
কার্ডটি হাতে পাওয়ার পর নির্দেশনা অনুযায়ী কার্ডটি একটিভ করতে পারবেন এবং ৪ সংখ্যার একটি গোপন পিন নাম্বার দিতে হবে।
পরবর্তীতে সেই নাম্বারের মাধ্যমে আপনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ATM থেকে সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। কারন বাংলাদেশের অনেকগুলো ব্যাংক Payoneer এর ATM কার্ড সাপোর্ট করে না।
বর্তমানে উপরোক্ত দুটি প্রক্রিয়া আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা উত্তোলন এর জন্য। তাই আপনি চাইলে এই দুইটি প্রক্রিয়া যেকোনো একটি প্রক্রিয়ায় সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে সেই টাকা সহজে উত্তোলন করতে পারবেন।