বর্তমানে প্রায় আমরা বাজার থেকে কোন কিছু কিনে থাকলে তার প্যাকেটে বারকোড দেখতে পাই। কিন্তু কি এই বারকোড চলুন আজকে বারকোড নিয়ে আলোচনা করব।
সক্রিয় গাড়ি উৎপাদন কারখানায় ব্যবহার করার জন্য বারকোড আবিষ্কার হয় প্রথম দিকে। সেই সময়ে নাম দেওয়া হয়েছিল কারক্ট্রেক এসিআই অর্থাৎ অটোমেটিক কার আইডেন্টিফিকেশন। ধীরে ধীরে নানা ক্ষেত্রে এর ব্যবহার শুরু হয়।
বারকোড কি
বারকোড রিডার বা মোবাইল স্ক্যানার ডিভাইসের বা সফটওয়ারের সাহায্যে বারকোডগুলো ডিটেক্ট করা হয়ে থাকে। এটি লেজার বা অভ্যন্তরীণ এর ব্যবহার করে কাজ করে। যখন রিডার রিড করে তখন বাম দিক থেকে ডান দিকে রিড করে।
বারকোড মোবাইল সফটওয়্যার বা জেনারেটর সফটওয়্যার দিয়েও বারকোড তৈরি করা হয়।
বারকোড হলো মেশিন-রিডেবল কোন পণ্যের মুদ্রিত বিভিন্ন প্রস্থের সমান্তরাল রেখার প্যাটার্ন। তবে একটাই বারকোড শুধুমাত্র কোন মেশিন পড়তে পারে। সকল বারকোড একটি নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম মেনে চলে।
বারকোডে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পণ্যের তথ্য দেওয়া থাকে। যেমন, পণ্যের মূল্য ও ওজন, পণ্যের মেয়াদ ও শেষ তারিখ ইত্যাদি।
বারকোড কিভাবে তৈরি করে
বার কোড জেনারেটর সফটওয়ারের সাহায্যে বারকোড তৈরি করা হয়। সফটওয়্যারটি প্রথমেই স্ট্রিং হিসেবে তথ্য ইনপুট নিয়ে তারপর সেগুলো কে বাইনারিতে কনভার্ট করে এবং বারকোড এর অ্যালগরিদম এর সাহায্যে বারগুলো জেনারেট করার মাধ্যমে আউটপুট দেয়।
একটি একমাত্রিক বারকোড প্রায় ২০ টি ক্যারেক্টার ধারণ করার ক্ষমতা রাখতে পারে এবং একটি দ্বিমাত্রিক বারকোড প্রায় ২০০০ টি ক্যারেক্টার ধারণ করার ক্ষমতা রাখতে পারে।