চাকরি বলেন ব্যবসা বলেন সব জায়গায় বর্তমানে অনেক প্রতিযোগিতা তাই দিন দিন মানুষ অনলাইনে আয়ের মাধ্যম গুলোর দিকে চলে যাচ্ছে।
আর তাই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজের স্কিল ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন।
বর্তমান সময় আমরা সবাই কম বেশি ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে পরিচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করতে হয়? এই বিষয়গুলো।
আজকের টপিকে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে সকল বেসিক নলেজ থাকতে হবে-
কম্পিউটার অন/অফ, এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড শো, কীবোর্ড শর্টকাট, স্ক্রীনশট, পেইন্ট রেসিজিং, ইমেজ কনস্ট্রাকশন, স্নিপিং টুল, সার্চ ইঞ্জিন, ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড, নোটপ্যাড, ব্রাউজার ফাংশন, কিওয়ার্ড রিসার্চিং, পিসি ট্রাবল, সাইনআপ, ডাউনলোডিং, বেসিক সফটওয়্যার ইউজিং, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রসেস, (মর্ডান, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড, হটস্পট স্টেপ), (জেপিজি, পিএনজি, জিআইএফ), (কপি, পেস্ট, সেভ ইমেজ, ডকুমেন্ট), গুগল ক্রোম, মজিলা ফায়ারফক্স, ইমেইল মার্কেটিং বেসিক কনসেপ্ট, লিংক, ইউ আর এল, ডোমেইন, হোস্টিং, জিপ ফাইল, কপিরাইটিং, ব্র্যান্ড ওয়াইথ, থিম, টেমপ্লেট, আইকন সার্চ, আইডিএম ম্যানেজার, ব্লগ কনসেপশন, গুগল ড্রাইভ, প্রক্সি সার্ভার, ব্রাউজার এডভান্স সেটিং, আইপি অ্যাড্রেস, ম্যাক এড্রেস, ভেরিফিকেশন ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং কি?
কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির অধীনে না থেকে নিজের সময় সুবিধা মত স্বাধীনভাবে কাজ করে টাকা আয় করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি স্বাধীন পেশা।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা আয় করার উদ্দেশ্যে অন্য কারো বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেওয়াকে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। আর যারা এ ধরনের কাজ করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি শুরুর দিকে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এরপর আস্তে আস্তে যখন কাজের দক্ষতা বাড়বে তখন প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ যেসব কাজ করতে হয়
ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। যেমনঃ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্য ব্যবস্থা, লেখা অনুবাদ, ইনফরমেশন সিস্টেম, প্রশাসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহক সেবা, বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসা সেবা ইত্যাদি।
আপনি যদি এসব কাজ করতে পারেন এবং এসব কাজে যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অবশ্যই আপনার মধ্যে কিছু স্কিল বা দক্ষতা থাকা লাগবে। মার্কেটে যেসব কাজের চাহিদা বেশি অবশ্যই আপনাকে সেসব কাজে পারদর্শী হতে হবে।
যদি আপনার বিভিন্ন কাজে দক্ষতা না থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সেগুলো শিখে নিতে পারেন। এর জন্য আপনি গুগল বা ইউটিউব ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ শিখে নিতে পারেন।
নামিদামি ফ্রিল্যান্সারদের ইউটিউব চ্যানেল ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও আপলোড দিয়ে থাকেন। সেই ভিডিও গুলো দেখে ধারণা নিয়ে কাজ করতে পারেন।
এছাড়া বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে নানা ধরনের প্রফেশনাল স্কিল গুলো শিখতে পারবেন এবং নিজের স্কিল গুলো ডেভেলপ করতে পারবেন। বাংলাদেশের স্বনামধন্য অনলাইন শিক্ষা পোর্টাল যেগুলো রয়েছে সেখান থেকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের এ টু জেড বিষয় জেনে নিতে পারেন।
অর্থাৎ যেসব লোকেরা ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হয়েছে তাদের থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনি পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
এছাড়া গুগলের ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অসংখ্য পিডিএফ ফাইল রয়েছে। সেগুলো ডাউনলোড করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য সর্বপ্রথম যে জিনিসটা লাগবে সেটা হল কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য। আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী কোর্স করতে হবে।
এর ফলে আপনি আপনার দক্ষতা বা স্কিল বৃদ্ধি করতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের দেশে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকার ভিতরে যেকোনো ধরনের কোর্স কোর্স করানো হয়। কোর্সের ভিন্নতার উপর টাকার পরিমাণ হয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সমূহ
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যেহেতু সকল ক্লায়েন্ট বিদেশি তাই আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ঘুরে দেখলে সেখান থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির দেখতে পারবেন।
যে কাজ আপনি ভালো পারবেন অর্থাৎ যে কাজের প্রতি আপনি আগ্রহী সেইটাই শিখবেন এবং সেটা নিয়ে কাজ করবেন। যদি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, এসইও, ডাটা এন্ট্রি, ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন ইত্যাদি কাজগুলো শিখতে পারেন।
আর যদি কম্পিউটার না থাকে তাহলে ফেসবুক সার্ভিস, চ্যাট বোট তৈরি, পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি সার্ভিস গুলো দেখতে পারেন। কেউ আপনার কাজ করে দিবে না আপনার কাজ আপনাকেই করতে হবে।
আপনাকে ধৈর্য সহকারে পশ্চিম করে যেতে হবে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। ফ্রিল্যান্সিং ভাল করে শিখে মার্কেটপ্লেসে আসলে সেখানে কাজের অভাব হবে না। একজন অবশ্যই আপনাকে স্কিলফুল ও দক্ষ হতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
বর্তমানে যেসব কাজ করে বেশি ইনকাম করা যায় এবং মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং
গ্রাফিক্স ডিজাইন
ওয়েব ডিজাইন
SMM মার্কেটিং
SEO (Search Engine Optimization)
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
ডাটা এন্ট্রি
কনটেন্ট রাইটিং
এডিটিং
ইন্টেরিয়র ডিজাইন