অল্প টাকায় অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা হলো ফার্মেসি ব্যবসা। এটি পেশা হিসেবে সম্মানজনক একটি পেশা। ফার্মাসি ব্যবসা শুরু করতে হলে কিছু কাজ সম্পূর্ণ করে নিতে হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ড্রাগ লাইসেন্স করা এবং ফার্মাসিস্ট কোর্স কমপ্লিট করা ইত্যাদি।
এরকম বিভিন্ন কাজ কমপ্লিট করার পর ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই পোস্টে আলোচনা করবো ফার্মাসিস্ট কোর্স করার নিয়ম নিয়ে।
ফার্মাসিস্ট কোর্স মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ এ ক্যাটাগরি, বি ক্যাটাগরি এবং সি ক্যাটাগরি।
আপনি যদি ফার্মেসী ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে সি ক্যাটাগরির কোর্সটি করতে হবে। আর এই কোর্সটি কমপ্লিট করার পর আপনাকে একটি সার্টিফিকেট বা লাইসেন্স দেওয়া হবে। এটি ব্যবহার করে কোন সমস্যা বা ঝামেলা ছাড়াই ফার্মেসি ব্যবসা করতে পারবেন।
ফার্মাসিস্ট কোর্স করার নিয়ম (সি ক্যাটাগরি)
‘বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল’ থেকে ফার্মাসিস্ট কোর্সের সার্কুলার প্রকাশিত হয়। আপনাকে বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। কারণ এখানে সার্কুলার প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট http://www.pcb.gov.bd/
তিন মাস মেয়াদি সি ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট কোর্স করানো হয়। বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে কোর্স বন্ধের নোটিশ না আসা পর্যন্ত সি ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট কোর্সের জন্য তিন মাস পর পর ভর্তি হওয়া যায়।
ফার্মাসিস্ট কোর্স করার যোগ্যতা (সি ক্যাটাগরি)
যে কোন বিভাগ থেকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
আবেদনকারীর বয়স ১৭ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
ড্রাগ লাইসেন্স আছে এরকম ফার্মেসির মালিকের সুপারিশ অথবা ওই ফার্মেসিতে কাজ করে এমন কোন ব্যক্তি
ফার্মাসিস্ট কোর্স করার যোগ্যতা (এ এবং বি ক্যাটাগরি)
এই দুই ক্যাটাগরিতে কোর্স করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাশ করতে হবে। এরপর চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স করার মাধ্যমে ফার্মাসিস্ট হতে পারবেন।
ফার্মাসিস্ট এর জন্য যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে (সি ক্যাটাগরি)
জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID এর ফটোকপি
সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেটের ফটোকপি
যেই ফার্মেসিতে কর্মরত সে ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স এর ফটোকপি
অথবা আবেদনকারী ব্যক্তির নিজের ফার্মেসীর ভাউচারে মালিক কতৃক প্রত্যয়ন পত্র দিতে হবে।
কোর্সের নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে
ফার্মাসিস্ট কোর্স যেখানে করা যাবে (সি ক্যাটাগরি)
আপনার সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলায় বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট কার্যালয় ভর্তি হবেন। আপনার এলাকার বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। অথবা সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছ থেকে জানতে পারেন কোন ব্যাচ চলছে, কতদিন চলবে এসব বিষয়। এছাড়া যারা ইতিপূর্বে ফার্মাসিস্ট কোর্স করেছে তাদের সাথে কথা বলে ফার্মাসিস্ট কোর্স এর ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারেন।
মনে রাখবেন কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সাথে করে ড্রাগ লাইসেন্স এর ফটোকপি নিতে হবে। যে ফার্মেসিতে ড্রাগ লাইসেন্স আছে এমন ফার্মেসির মালিক অথবা ওই ফার্মেসিতে কাজ করে এমন কোন ব্যক্তির সুপারিশ।
বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলায় বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট্রি কার্যালয় রয়েছে। আপনি বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারেন আপনার জেলায় এই কার্যালয় আছে কিনা। আপনি অনলাইনে একটু ঘাটাঘাটি করলেই আপনার নিকটবর্তী বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট কার্যালয়ের সন্ধান পেয়ে যাবেন।
ফার্মাসিস্ট কোর্স ফি (সি ক্যাটাগরি)
বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট কার্যালয় হতে নির্ধারিত ফার্মাসিস্ট কোর্স ফি ২৩৫০ টাকা, পরীক্ষা ফি ১৫০০ টাকা এবং আবেদন ফি ১০/৫০ টাকা। সর্বমোট কোর্স ফি ৩৮৬০ টাকা।
ব্যাংকে মাধ্যমে পে-অর্ডার করে কোর্স ফি জমা দিতে হয়। এরপর তারা আপনাকে একটি স্লিপ দিবে। আবেদন ফরমের সাথে অন্যান্য কাগজ এবং ফি জমাদানের স্লিপ সংযুক্ত করে অফিসে জমা দিবেন।