উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক শেষ করার পর বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে পারবেন। স্কলারশিপ করার জন্য যা যা দরকারি জিনিস বা রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো পালন করতে হবে। স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট আছে সেখানে খোঁজখবর রাখতে হবে।
বিদেশে যে সকল দেশে স্কলারশিপ পাওয়া সহজ
জার্মানি, ফ্রান্স, চীন, গ্রীস, নরওয়ে, স্পেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক।
এই দেশগুলোতে কম খরচে ভালো বিষয়ে পড়তে পারবেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বড় বড় দেশের ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে এই দেশগুলোতে পড়াশোনার খরচ অনেক কম।
উচ্চ মাধ্যমিক শেষে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যা করতে হবে
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনার নিজেকে ডেভলপ করতে হবে। বিভিন্ন কোর্স রয়েছে সেগুলো করতে হবে। যেমনঃ SAT (Scholastic Aptitude Test), IELTS (International English Language Testing System), TOEFL (Test of English as a Foreign Language) ইত্যাদি।
এছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক মূলক, প্রতিযোগিতা মূলক এবং সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। এইসব কাজের সনদ আপনাকে স্কলারশিপ পেতে সাহায্য করবে। আপনার আবেদনপত্রে নিজের আগ্রহে কথা যেমনঃ কেন বিদেশ পড়তে চান, পড়াশোনার মূল লক্ষ্য কি, ভবিষ্যতে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান ইত্যাদি।
বিডিপপুলারের আগের পোষ্টে – স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়
স্নাতক শেষে স্কলারশিপ করার জন্য যা করতে হবে
বিদেশে পিএইচডি বা স্নাতকোত্তর করতে হলে আপনাকে স্নাতক পর্যায়ে থেকে এ ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতে হবে। বিভিন্ন গবেষণা নিবন্ধে দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে । যে বিষয়ে গবেষণা করবেন সেটার উপর লেখার থিসিস বা জার্নাল পেপার বিভিন্ন জান্নাতে প্রবেশের চেষ্টা করবেন।
আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা সিনিয়রদের সাহায্য নিতে পারেন এ ব্যাপারে। বিদেশে যে বিষয়ে নিয়ে পড়তে চান সে বিষয়ে যদি চাকরির অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেটা আপনাকে কাজে দিবে।
বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়। আপনি আগে থেকেই সেসব বিভাগ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান অধ্যাপকের সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করে ফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
আপনাকে মেইল এ উল্লেখ করতে হবে কোন বিষয় পড়তে চান, কেন পড়তে চান, কোন বিষয়ে কার অধীনে গবেষণা করতে চান ইত্যাদি।
বিভিন্ন ধরনের কোর্স যেমনঃ IELTS, TOEFL, GRE (Graduate Record Examinations), GMAT(Graduate Management Admission Test) ইত্যাদি এর স্কোর গুলো পিএইচডি বা স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
SAT, IELTS, TOEFL, GRE, GMAT ইত্যাদির স্কোর ভালো হলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বিখ্যাত কয়েকটি স্কলারশিপের নাম হলো
মেক্সট বৃত্তি বা মনবুকাশো (জাপান)
সিএসসি বৃত্তি (চীন)
রাশিয়ান সরকারি বৃত্তি (রাশিয়া)
আইসিসিআর (ভারত)
কেজিএসপি (কোরিয়ান সরকারি বৃত্তি)
তুর্কি বুরস্লারি বৃত্তি (তুরস্ক)
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ (যুক্তরাজ্য)
ডাড স্কলারশিপ (জার্মানি)
ভি এল আই আর- ওইউএস স্কলারশিপ (বেলজিয়াম)