আমরা সবাই বলে থাকি – পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু আমি বলি নিরাপদ পানির অপর নাম জীবন। পানি যদি নিরাপদ না হয় তাহলে সে পানি ব্যবহার বা পান করলে আপনার শরীরে পানিবাহিত রোগ হবে। আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের জানাবো নিরাপদ পানি কাকে বলে।
নিরাপদ পানি
যে পানির মধ্যে কোনো ক্ষতিকর পদার্থ, ময়লা, আবর্জনা, রোগজীবাণু ইত্যাদি থাকে না তাকে নিরাপদ পানি বলে। সহজ কথায় যে পানি ব্যবহার বা পান করলে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না সেই পানি নিরাপদ।
পানিকে বিভিন্ন উপায়ে নিরাপদ করা যায়। যেমনঃ ফুটিয়ে, ফিল্টার করে, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করে ইত্যাদি উপায়ে। পানির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার মাধ্যমে নানা ধরনের রোগ ছড়ায়। তাই আমাদের অবশ্যই নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
সাধারণত নদী-নালা, খাল-বিলের পানি পান করার জন্য নিরাপদ নয় এমনকি কিছু কিছু নলকূপের পানি পান করার জন্যও নিরাপদ নয়। আর আমরা মানুষরা পানিকে অনিরাপদ অর্থাৎ দূষিত করার জন্য দায়ী।
যে সকল উপায়ে পানি দূষণ রোধ করা যাবে
- কলকারখানার বর্জ্য নদী-নালা, খাল-বিলে ফালানো যাবে না। যদি ফেলার প্রয়োজন পড়ে তাহলে দূষিত পানি পরিশুদ্ধ করে ফেলতে হবে।
- নদী বা পুকুরের পানিতে জামা-কাপড়, থালা-বাসন ইত্যাদি ধোয়া যাবে না। পানিতে এসব জিনিস ধোয়ার ফলে পানি যেমন দূষিত হয়ে সেইসাথে জলজ প্রাণীর ক্ষতি হয়।
- মরা ও পচা জীবজন্তু এবং ময়লা আবর্জনা ইত্যাদি পানিতে না ফেলে মাটি চাপা দিতে হবে। যে কোন খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল এসব জিনিস পানিতে ফেলা যাবে না।
- জমিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। কারণ রাসায়নিক সার বৃষ্টির পানির মাধ্যমে নদী-নালা, খাল-বিলে গিয়ে পড়ে। যার ফলে পানি দূষিত হয়।
আমাদেরকে বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি। কিন্তু আমরা যদি অনবরত পানি দূষিত করতে থাকি তাহলে আমাদের নদী-নালা, খাল-বিলে মাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন মাছ খেতে পারব না। আমাদের শরীরের ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ একটি মাধ্যম কমে যাবে।