যাদের বাইরের দেশে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছা তাদের একটি কমন প্রশ্ন হল স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়? অনেকের ছোট্ট বেলা থেকে স্বপ্ন থাকে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার। তবে অনেকের এ বিষয়ে কোন ধারণা নেই।
কারণ আপনি যদি এই বিষয়টি বুঝতে পারেন তাহলে আপনার জন্য স্কলারশিপ পাওয়া একটু হলেও সহজ হবে। আপনি যদি নির্দিষ্ট যোগ্যতার মাধ্যমে স্কলারশিপের জন্য আগে আবেদন করেন তাহলেই স্কলারশিপ পাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি স্কলারশিপ পেতে পারেন কিন্তু এই যোগ্যতা ক্ষেত্রবিশেষ ভিন্ন হতে পারে। যেমন মনে করেন আপনি পিএইচডি এর জন্য স্কলারশিপের যোগ্যতা একরকম আবার আপনি যদি গ্রাজুয়েট করার জন্য স্কলারশিপ চান তাহলে সে ক্ষেত্রে যোগ্যতা অন্যরকম।
এই কথাটি বলার কারণ হলো বিদেশ অর্থাৎ বাইরের দেশে মানুষ সাধারণত গ্রাজুয়েশন, পোস্ট গ্রাজুয়েশন এবং পিএইচডি অর্জন করার জন্য বেশিরভাগ মানুষ যায়। তবে আপনার ইচ্ছা যে জন্যই হোক না কেন আজকে আমাদের আলোচিত বিষয়টি হচ্ছে স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়!
বিডিপপুলারের আগের পোষ্টে – কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়
স্কলারশিপের জন্য আপনার অনেক জায়গায় খোঁজখবর রাখতে হবে। কারণ এর ফলে আপনি জানতে পারবেন কোথায় স্কলারশিপ দিচ্ছে বা আপনি কিভাবে স্কলারশিপ সহজেই পেতে পারেন।
বিভিন্ন দেশ যেহেতু স্কলারশিপ দিয়ে থাকে তাই স্কলারশিপের জন্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে। আমি আপনাদের সুবিধার জন্য দুটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিচ্ছি এগুলো ছাড়া আরো অনেক উপায় রয়েছে স্কলারশিপ পাওয়ার তবে আপনাকে খোঁজখবর রাখতে হবে।
এই দুটি সাইটের মাধ্যমে আপনি স্কলারশিপ পেতেও পারেন কারণ এরা বেশি বেশি স্কলারশিপের অফার করে থাকে।
https://www.opportunitiescircle.com/
আপনার যদি ইচ্ছা থাকে মাধ্যমিক শেষ করে স্কলারশিপ নিয়ে বাইরের দেশে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার তাহলে আপনি উচ্চমাধ্যমিকে থাকতেই নিজেকে সেভাবে তৈরি করে তুলুন। তাহলে আপনার জন্য স্কলারশিপ পাওয়া সহজতর হবে।
স্কলারশিপ এর জন্য কোন বিষয়গুলোতে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবেঃ
১। অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার জন্য এসএটি স্কোর চাওয়া হয়। যেমন, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ইত্যাদি। তাই আপনার উচিত কলেজ লাইফ থেকেই এসএটি স্কোরের দিকে মনোযোগ দেওয়া।
২। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলা, স্বেচ্ছাসেবা বা সামাজিক কার্যকলাপ গুলোর সাথে যুক্ত থাকলে সেটা আপনার ভর্তির জন্য সহায়ক হবে কারণ তারা এতে বুঝতে পারবে আপনি সব জায়গায় অ্যাক্টিভ রয়েছেন।
তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে এ ধরনের ভিন্ন কার্যকলাপ গুলো তে অংশগ্রহণ করে তার সনদ পাওয়া। এই সনদটি আপনাকে অনেকের থেকে এগিয়ে রাখতে সহায়তা করবে।
৩। স্কলারশিপের জন্য রেকমেন্ডেশন লেটার খুবই জরুরী একটি বিষয়। কারণ এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার কাঙ্খিত স্কলারশিপটি পেতে পারবেন। তাই রেকমেন্ডেশন লেটার টি এমন কাউকে দিয়ে লেখাবেন যিনি আপনাকে হয়তো ভালোমতো চিনেন।
যেমন হতে পারে আপনার স্কুল- কলেজের শিক্ষক বা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি। যিনি লেখবেন তাকে আপনার লার্নিং ইন্টারেস্ট ও সামাজিক দক্ষতা সম্পর্কে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৪। আপনার ইংরেজি দক্ষতা প্রমাণ করে IELTS এবং TOEFL এ অবশ্যই আপনাকে স্কোর ভালোভাবে বাড়াতে হবে এবং এর উপর মনোযোগ দিতে হবে। কারণ এগুলোর স্কুল ভালো হলে আপনি সহজেই স্কলারশিপ পেতে পারেন।
কারণ এতে তারা বুঝতে পারবে আপনার ইংরেজি বিষয়ে ভালো দক্ষতা রয়েছে। IELTSপরীক্ষার সর্বনিম্ন স্কোর হচ্ছে ৬.৫।
৫। সবশেষে আপনি যে আবেদন করবেন তার সাথে আগ্রহের কথা অবশ্যই লিখবেন। আপনি কেন বিদেশে পড়তে চান, আপনার পড়াশোনা লক্ষ্য কি এবং ভবিষ্যতে আপনি কোন বিষয়ে কাজ করতে চান ইত্যাদির কথা লিখে জানাতে পারেন। তাহলে এক্ষেত্রে আপনার স্কলারশিপ পেতে কিছুটা সহায়ক হবে।
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনার পূর্বের রেজাল্ট অনেক সহায়তা করবে। তাই আপনার যদি অনেক আগে থেকেই স্বপ্ন থাকে বাইরের দেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার তাহলে আপনাকে রেজাল্ট এ্ররদিকে আগেই মনোযোগ দিতে হবে। কারণ আপনার রেজাল্ট খারাপ হলে তারা কখনো স্কলার্শিপ দিতে চাইবে না।