আমরা অনেক সময় দেখে থাকি সমুদ্রের পাড়ে মানুষ ঘুরতে গেলে তখন কাকড়া খায় এবং এটি খেতেও নাকি অনেক সুস্বাদু। তবে আমাদের মনে অনেক সময় প্রশ্ন আসতেই পারে কাঁকড়া খাওয়া কি হারাম নাকি হালাল!!!
আসলে কাঁকড়া খাওয়া হারাম নাকি হালাল এ নিয়ে আমাদের আলেমদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। এই মাসআলার মধ্যে মূলত ইজতিহাদ (গবেষণা) এবং ইখতিলাফ (মতবিরোধ) দুটি রয়েছে।
নবী করিম (সাঃ) এ বিষয়ে যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেনঃ আমরা সেটি গ্রহণ করব। নবী করীম (সাঃ) কে যখন এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন ,
“সমুদ্রের পানি তোমাদের জন্য পবিত্র,এবং পবিত্রতা সকল কাজেই তোমরা সমুদ্রের পানি ব্যবহার করতে পারবে, এর মাধ্যমে তোমরা তাহারাত হাসিল করতে পারবে এবং সমুদ্রের যত প্রাণী আছে সব তোমাদের জন্য হালাল”।
(হযরত মুহাম্মদ সাঃ)
সুতরাং যেহেতু চিংড়ি এবং কাঁকড়া সকলেরই খুব পছন্দের তাই চিংড়ি,কাঁকড়া এর মধ্যে প্রথমেই আসবে। তাই এজন্য নবী করিম (সাঃ) এর বক্তব্য অনুসারে বিশুদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে, চিংড়ি এবং কাঁকড়া দুটি হালাল এবং দুটিই খাওয়া জায়েজ।
তবে এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। যেমন হানাফী মাযহাব মতে, শুধু নদী-নালার মাছই খাওয়া জায়েজ, অন্য কোন প্রানী খাওইয়া জায়েজ নয়। সেই হিসেবে অনুযায়ী কাঁকড়া যেহেতু মাছের মধ্যে গণ্য হয় না তাই হানাফি মাযহাব অনুসারে তা খাওয়া বৈধ নয়।
আরেকটি মত হচ্ছে, কাকড়া খাওয়া জায়েজ তবে যদি কারো খেতে রুচি হয় তিনি খেতে পারেন। যেহেতু নবী করিম (সাঃ) এর হাদীস দ্বারা বোঝা যাচ্ছে কাঁকড়া খাওয়া হারাম তাই অনেকে বলে থাকেন এটি মূলত রুচির বিষয়।