বর্তমানে লো ভ্যালু কনটেন্ট সমস্যা খুবই কমন হয়ে গেছে। লো ভ্যালু কনটেন্ট হলো ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুগলে কম সার্চ হয় এবং গুগলের কাছে মূল্যহীন এমন ধরনের কনটেন্ট গুলোকে লো ভ্যালু কনটেন্ট বলা হয়।
বর্তমানে লো ভ্যালু কনটেন্ট (Low value content) খুবই কমন সমস্যা। দেখা গেছে প্রায় ৯০ শতাংশ অ্যাডসেন্স রিজেক্ট করে দেয় এই লো ভ্যালু কনটেন্টের জন্য।
অনেক সময় দেখা যায়, আপনি যেই পোস্টগুলো করেন সেগুলো গুগল এর র্যাঙ্ক করার মত যোগ্যতা থাকে না।
কারণ আপনি যেই তথ্য দিয়েছেন সেগুলো গুগলের কাছে আগে থেকেই আছে। অনেক সময় আমরা প্লেজিয়ারিজম চেকার দিয়ে আমাদের পোষ্ট গুলো চেক করি তখন ১০০% ইউনিক হওয়া সত্ত্বেও গুগল সেটা ধরতে পারে।
কারণ প্লেজিয়ারিজম চেকার গুলো শুধু ডুপ্লিকেট ওয়ার্ড ও সেনটেন্স চেক করতে পারে। কিন্তু গুগল চাইলে আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য পড়তে পারে যার কারণে গুগলকে ফাঁকি দেওয়া অতটা সহজ নয়।
চলুন লো ভ্যালু কনটেন্ট আসার কয়েকটি কারণ দেখে নেই
লো সার্চ ভলিউম কিওয়ার্ড এর কারনে লো ভ্যালু কনটেন্ট হতে পারে।
লো সিপিসি কিওয়ার্ড এর কারনে লো ভ্যালু কনটেন্ট হতে পারে।
পোস্ট গুলো গুগলে ইন্ডেক্স না থাকার কারণে লো ভ্যালু কনটেন্ট হতে পারে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ না করে পোস্ট করার কারণে লো ভ্যালু কনটেন্ট হতে পারে।
কপিরাইট কনটেন্ট পাবলিশ করার কারণে লো ভ্যালু কনটেন্ট হতে পারে।
হাই কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড এর কারণে লো ভ্যালু কনটেন্ট হতে পারে।
এসইও ফ্রেন্ডলি ভাবে না লেখার কারণে কারণে লো ভ্যালু কনটেন্ট হতে পারে।
সাইটে মিনিমাম কনটেন্ট না থাকলে লো ভ্যালু কনটেন্ট হতে পারে।
গুগল এর র্যাঙ্ক করার মত অযোগ্য এমন কনটেন্ট পাবলিশ করলে লো ভ্যালু কনটেন্ট হতে পারে।
এবার জেনে নেই কিভাবে এর সমাধান করা যায়
আপনাকে অবশ্যই প্রথমে ওয়েবসাইটের রেগুলারই মেন্টেইন করতে হবে, কারণ এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অযথা অনিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট না করে যে কোন একটি নির্দিষ্ট সময় মেন্টেন করে পোস্ট পাবলিশ করুন।
চাইলে হাই সার্চ ভলিয়ম ও হাই সিপিসি নিয়ে কাজ করতে পারেন, তবে আপনাকে এমন ভাবে কনটেন্ট রাইটিং করতে হবে এবং পোস্ট করতে হবে কেন সেটি গুগলের পছন্দ করার মত যোগ্যতা রাখে।
গুগল অফিশিয়াল ভাবে কোন কনটেন্টের ওয়ার্ড লিমিট করেনি যে আপনাকে মিনিমাম এত ওয়ার্ডের মধ্যে কনটেন্ট লিখতে হবে। তবে এক্সপার্টদের মতে তাদের রিকমেন্ডেশন হচ্ছে ৮০০+ ওয়ার্ডের আর ৫০+ কঁপিরাইট ফ্রী পোস্ট ওয়েবসাইটে পাবলিশ বা পোস্ট করে এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারেন।
আপনাকে যথাসম্ভব কিওয়ার্ড রিসার্চ এর উপর জোর দিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় রিসার্চ করে কনটেন্ট কিভাবে র্যাংক করানো যায় সেই পলিসি বোঝার চেষ্টা করুন।
আপনার আর্টিকেল রি-রাইটার এর মাধ্যমে বা স্পিনার দিয়ে কনটেন্ট রি-রাইট করে সরাসরি সাইটে পাবলিশ করবেন না। কারণ রি রাইট করার পর আর্টিকেলটিতে যথাসম্ভব নিজের মত করে প্রতিটি প্যারায় কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করুন, তবে সেগুলো যেন ইনফরমেটিভ হয়।
সব সময় চেষ্টা করবেন এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখার জন্য।
যথাসম্ভব সাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর চেষ্টা করুন, কারণ অর্গানিক ভিজিটর হলে তো আর কথাই নেই। এডসেন্স পেতে আগে ভিজিটরের খুব বড় একটা বিষয় ছিল না কিন্তু এখন এটা লাগে। যদি আপনি মনে করেন ভিজিটর কোন বিষয় না তাহলে আপনি ইংরেজি কনটেন্ট নিয়ে কাজ করে ভিজিটর ছাড়া এডসেন্স এনে দেখান।
আপনার জন্য রেকোমেন্ড থাকবে হাই কম্পিটিটিভ কীওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট না লিখার যদি না আপনার যথেষ্ট জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা না থাকে।
সবশেষে আপনার সাইটে যদি ৩০ টা পোষ্ট পাবলিশ থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন সকল পোষ্ট গুগলে ইনডেক্স করানোর এবং ওয়েবসাইটের মোট কনটেন্টের ৩ ভাগের ১ ভাগ বা তার বেশি পোস্ট গুগলে র্যাংক থাকে।
উপরোক্ত সমস্যাগুলো বের করে এর সমাধান গুলো মেনে চললে ইনশাআল্লাহ আপনার আর লভেলু কনটেন্ট আসার সম্ভাবনা থাকবে না। কারণ এই ইনফর্মেশন গুলো বিভিন্ন অথরাইজড ফোরাম থেকে রিসার্চ করে নেওয়া।