ইন্টারনেট জগতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে ইউটিউব। এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়।
তাই বর্তমান সময়ে অনেকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে ইউটিউব কে বেছে নিচ্ছে। আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড দিয়ে পপুলার হতে চান বা অর্থ ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই চিন্তাশীল দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সৃজনশীলতাকে কাজে লাগে ভিডিও বানাতে হবে।
আজকে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইউটিউবে কোন ধরনের ভিডিও তৈরি করলে ভালো হবে।
ইউটিউব এ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানানো হয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই ভিডিও কোয়ালিটি এবং ক্যাটাগরি আকর্ষণীয় হতে হবে।
বিভিন্ন বিষয়ে ইউটিউব ভিডিও বানানো হয়। যেমনঃ সচেতনতামূলক, কার্টুন, এনিমেটেড, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি, টেকনোলজি, গান, প্রতিবেদনমূলক, শিক্ষামূলক, মোটিভেশনাল, বিনোদনমূলক, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন, রান্না-বান্না, ধর্মীয়, টেকনিক্যাল, রহস্য মূলক, নাটক, টেলিফিল্ম, শর্ট ভিডিও, দেশী বিদেশী খবর, মুভি ও মুভির ট্রেলার, রিভিউ, বিজ্ঞান, খেলাধুলা সম্পর্কিত ইত্যাদি।
আমরা যখন নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলি অথবা নতুন নতুন ভিডিও আপলোড দেই তখন আমাদের অনেক বিষয়ে জ্ঞান কম থাকে। এর ফলে আমাদের চেষ্টা সফল হয়না যার কারণে আমরা সহজে ভেঙে পড়ি।
ইউটিউব এর সফলতা পেতে হলে আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম ও ধৈর্য ধরতে হবে। টেকনোলজি বা ডিজিটাল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান কম থাকার কারণে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
কারণ প্রতিনিয়ত ইউটিউব বিভিন্ন টার্মস এন্ড কন্ডিশন পরিবর্তন হচ্ছে। তাই আমাদের অবশ্যই বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ করে আইডিয়া নিতে হবে। আপনি যে বিষয়ের উপর ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান অবশ্যই আপনাকে সেই বিষয়ের উপর ধারণা বা জ্ঞান রাখতে হবে।
একেক মানুষের একেক রকম বিষয়ের উপর ইন্টারেস্ট। আপনাকে প্রথমে ঠিক করতে হবে আপনি কোন বিষয়ে ভালো বা কোন বিষয় নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুললে ভাল করতে পারবেন। কারণ আপনার কনটেন্ট যদি ইউনিক হয় তাহলে আপনি ইউটিউবে ভালো করতে পারবেন।
ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার জন্য নতুন নতুন আইডিয়া কিভাবে খুঁজে পাবেন
ইউটিউব এর সার্চ বারে গিয়ে আমরা কোন ভিডিও দেখার জন্য সার্চ দেই। সার্চ দেওয়ার সময় যখন আমরা একটি শব্দ লিখি তখন সেই শব্দের সাথে জড়িত আরও অনেক বিষয়ে রেজাল্ট দেখানো হয়।
একে বলা হয় সার্চ প্রেডিকশন। ইউটিউব এর যে টপিকগুলো মানুষ বেশি সার্চ দিয়ে থাকে সেগুলো ইউটিউবে সার্চ প্রেডিকশনে দেখানো হয়। ঠিক একইভাবে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে যখন আমরা কোনো বিষয়ে সার্চ করি।
তখন আমরা কিছু শব্দ লিখলে সেই বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত আরো অনেক ভবিষ্যৎ বাক্যে চলে আসে। যে বিষয়গুলো গুগলের বেশি সার্চ দেওয়া হয় সেগুলো গুগলের সার্চ ইঞ্জিন পেডিকসনে দেখানো হয়ে থাকে।
এরকম প্রেডিকশন করা বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করলে বেশি ভিউস পাওয়া সম্ভব। এছাড়া আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্লগ এবং ওয়েবসাইট থেকে ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া নিতে পারেন।
Wikihow ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিয়ে নতুন ও লাভজনক কনটেন্টের আইডিয়া নিতে পারেন।
ইউটিউব এ কনটেন্ট তৈরি করার সময় যে সকল বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে
প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে এবং চ্যানেলটির নাম আপনার ভিডিও রিলেটেড হতে হবে।
আপনি যখন ভিডিও তৈরি করবেন তখন ভিডিওর কোয়ালিটি ও উপস্থাপনা ভালো করে করতে হবে।
ইউটিউবে প্রতি ঘন্টায় হাজার হাজার ভিডিও আপলোড করা হয়। তাই এত ভিডিওর মধ্যে যদি চান আপনার ভিডিও তে ভিউ ভালো হোক তাহলে অবশ্যই আপনাকে সৃজনশীলতার সাথে ইউনিক ভিডিও বানাতে হবে।
ভিডিও বানানোর সময় অবশ্যই কপিরাইট মুক্ত ভিডিও বানাতে হবে। অন্য কোন মুভি, নাটক অথবা কারো ইউটিউব চ্যানেল থেকে কোনো কিছু কপি করে নিজের চ্যানেলে আপলোড করা যাবেনা। এরকম করলে আপনার চ্যানেল টি ডিজেবল করে দেওয়া হবে।
আপনি যে বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন সেই বিষয়ের সাথে মিল রেখে মিউজিক বা টোন অ্যাড করবেন।
ভিডিও বানানোর পরে একটি টাইটেল বা ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়। এই টাইটেল বা ট্যাগ হতে হবে ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আপনি যদি আপনার সৃষ্টিশীলতাকে ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন তাহলে কম সময়ের মধ্যে ফেমাস হতে পারবেন।
আপনি যদি ইউটিউব কে পেশা হিসেবে নিতে চান তাহলে অবশ্যই চ্যানেলের মধ্যে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে।
আপনি যদি রেগুলার ভালো মানের ইউনিক ভিডিও আপলোড দিতে পারেন তাহলে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ও ভিউ বাড়বে।
কম সময়ের মধ্যে ইনকাম বা জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশা না করা। এরকম আশা করলে বিভিন্ন ধরনের ভুল করার সম্ভাবনা থাকে। ফলে আপনার চ্যানেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।