মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণী মাটির নিচে বায়ুর অনুপস্থিতিতে উচ্চ তাপে ও চাপে হাজার হাজার বছর ধরে পচার ফলে একপ্রকার জ্বালানি তৈরি হয় তাকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে।
বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি রয়েছে যেমনঃ কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল ইত্যাদি। জীবাশ্ম জ্বালানি একটি অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে, জ্বালানি হিসেবে, পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে, রাসায়নিক সার এবং ওষুধ তৈরিতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।
জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় সাশ্রয়ী হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার করে এক জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
এই জ্বালানি সীমিত হওয়া শর্তেও এগুলো খুব সহজেই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি যেমনঃ তেল, গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই পরিবহন করা যায়।
সারা বিশ্বের মধ্যে চীনে সবচেয়ে বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। এই জীবাশ্ম জ্বালানির যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে আবার কিছু অসুবিধা হয়েছে।
জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে প্রচুর পরিমাণ ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয় যা বায়ু দূষণ করে। এসিড বৃষ্টির সৃষ্টি হওয়ার জন্য দায়ী এরকম কিছু ক্ষতিকর গ্যাস যেমনঃ কার্বন, নাইট্রোজেন, সালফার ইত্যাদির অক্সাইড জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে নির্গত হয়।