গরুর ওজন অনুপাতে গরুকে খাবার সরবরাহ করতে হয়। সকাল, বিকাল, রাত তিন বেলাই গরুকে খাবার দিতে হয়। খাবারের সাথে সাথে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করতে হবে।
গরুকে খাবার দেওয়ার নিয়মঃ
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরিষ্কারের সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে। মোট খাবারের ১০-১৫ ভাগ পানি সরবরাহ করতে হবে। দৈহিক ওজন অনুসারে প্রতিদিনের খাবার একবারে না দিয়ে ভাগ ভাগ করে দিতে হবে।
এর ফলে গরুর হজম ভালো হবে। প্রয়োজনীয় পরিমাণ দানাদার খাদ্য মেপে সকাল বিকাল খাওয়াবেন। শুকনো দানাদার খাদ্য খাওয়ার পর অবশ্যই পানি পান করাতে হবে।
সরিষার খৈল গরু মোটাতাজাকরণের জন্য বেশি উপকারী। প্রতিদিন খাদ্যে দানাদার, খড়, কাঁচা ঘাস ও পানি পরিমাণ মত খাওয়াতে হবে।
খড় পানিতে ২/৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে খাওয়ালে খাদ্যের মান বাড়ে। এছাড়া আঁশযুক্ত খাবার কেটে ভিজিয়ে খাওয়ালে খাবার কম নষ্ট হয় এবং খাদ্যর গ্রহণও বাড়ে।
ঘাস খাওয়ানোর উপকারিতা
সাধারণত ঘাস কিনে খাওয়ানো লাগেনা তাই খাদ্য খরচ কম হয়। এ ফলে দরিদ্র মানুষেরা খুব সহজে গরু পালন করে সংসার চালাতে পারে। অন্যান্য খাবারের তুলনায় ঘাস খাওয়ালে রোগব্যাধি কম হয় ফলে ঔষুধ ও চিকিৎসা খরচ কমে যায়।
১০০ কেজি ওজনের গরুর খাদ্য তালিকা
ধানের খড় ২ কেজি ও সবুজ ঘাস ৪ কেজি। দানাদার খাদ্যের মিশ্রন দেড় থেকে আড়াই কেজি। ইউরিয়া ৩৫ গ্রাম এবং লবণ ২৫ গ্রাম। চিটাগুড়া ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। এগুলো সব একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে খাওয়াতে হবে।
১৫০ কেজি ওজনের গরুর খাদ্য তালিকা
খড় ৩ কেজি ও কাঁচা ঘাস ৬ কেজি। দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ ২ থেকে ৩ কেজি। চিটাগুড়, ইউরিয়া, লবণ যথাক্রমে ৫০০ গ্রাম, ৪৫ গ্রাম ও ৩৫ গ্রাম।
২০০ কেজি ওজনের গরুর খাদ্য তালিকা
খড় ৪ কেজি ও কাঁচা ঘাস ৮ কেজি। দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ ৪ থেকে ৫ কেজি। চিটাগুড়, ইউরিয়া, লবণ যথাক্রমে ৭০০ গ্রাম, ৫৫ গ্রাম ও ৫০ গ্রাম।
গরুকে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে। আপনি এই খাদ্য গুলোর সাথে মিশিয়ে পানি খেতে দিতে পারেন আবার আলাদা পরিষ্কার পানি খেতে দিতে পারেন। এছাড়াও ভাতের মাড় ও খুদের জাউ দেয়া যেতে পারে।