প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় প্রসাব করা বিরক্তিকর একটা ব্যাপার। এটি আমাদের দৈনন্দিন কাজে এবং ঘুমের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করে।
আমরা অনেকে মনে করে থাকি ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিসের লক্ষণ কিন্তু বিষয়টি তা নয় অন্য কোন কারণেও হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ
প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ বার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি প্রস্রাব হওয়া কিছুটা চিন্তার বিষয়। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ গুলো হলো-
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো বেশি বেশি পানি পান করা। তাছাড়া বিভিন্ন তরল খাবার যেমনঃ চা, কফি, কোমল পানীয় ইত্যাদি অতিরিক্ত পান করার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে। আমরা অনেক সময় পরীক্ষার জন্য দুশ্চিন্তা, টাকা পয়সা দুশ্চিন্তা ইত্যাদি বিভিন্ন দুশ্চিন্তা করে থাকি। এসব কারণেও ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়।
ঠান্ডা পরিবেশ বা শীতকালে আমাদের শরীর বেশি না ঘামার ফলশ্রুতিতে শরীরের পানি ঘাম হয়ে নাম বের হওয়ার কারণে অতিরিক্ত প্রস্রাব তৈরি করে। এভাবে কিডনি আমাদের শরীরের লবণ ও পানির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ডায়াবেটিস, প্রস্টেট গ্রন্থির টিউমার, প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের রোগের লক্ষণ হিসেবে অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়। এছাড়া কিডনি দুর্বল বা অকেজো হওয়ার লক্ষণ অতিরিক্ত প্রস্রাব খাওয়া।
কিশোর-কিশোরীদের অ্যাডাল্ট ভিডিও দেখা বা চিন্তার ফলে অতিরিক্ত প্রস্রাব হতে পারে।
ব্লাডার বা কিডনিতে পাথর হলে এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। যক্ষা রোগ হলেও ঘন ঘন প্রস্রাব এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে।
মেয়েদের গর্ভকালীন সময়ে প্রথম তিন মাসে অতিরিক্ত বা ঘন প্রস্রাব হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
প্রস্রাবের রাস্তায় কোন বাধা বা সমস্যা হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। এছাড়া মূত্রনালী সংকোচন হলে এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘন ঘন প্রস্রাব সমস্যার প্রতিকার
প্রতিদিন পরিমাণ মতো পানি পান করবেন বেশি পানি পান করার দরকার নেই। আমাদের যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং যদি কোন ইনফেকশন থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ জেনে নিয়ে, সে অনুযায়ী হোমিও চিকিৎসা নিতে পারেন। কোমল পানীয়, চা, কফি ইত্যাদি তরল খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।