কাঠ বাদাম খেতে যেমন মজা ঠিক তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রতিদিন নিয়মিত সাত থেকে দশটি কাঠ বাদাম খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-ডি। কাঠবাদামে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। যেমনঃ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, জিংক ও আয়রন।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠ বাদামে আছে
- কার্বোহাইড্রেট ২০ গ্রাম
- এনার্জি ৫৭৮ কিলোক্যালরি
- প্রোটিন ২২ গ্রাম
- আঁশ ১২ গ্রাম
- ফ্যাট ৫১ গ্রাম
- থায়ামিন ০.২৪ মিলিগ্রাম
- নিয়াসিন ৪ মিলিগ্রাম
- রাইবোফ্লাভিন ০.৮ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন-বি৬ ০.১৩ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন-ই ২৬.২২ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম ২৪৮ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ২৭৫ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম ৭২৮ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস ৪৭৪ মিলিগ্রাম
- আয়রন ৪ মিলিগ্রাম
কাঠ বাদামের উপকারিতা ব্যাপক। কাঠবাদাম এক ধরনের খাদ্য বীজ। উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়াতে ভালো মানের কাঠ বাদাম পাওয়া যায়। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল।
এক এক করে কাঠ বাদামের উপকারিতা গুলো জেনে নিই
কাঠবাদাম হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিজিয়ে খেলে আপনি উপকার পাবেন।
কাঠ বাদামের খোসা এক ধরনের উৎসেচক দিয়ে তৈরি। তাই ভেজানোর ফলে বাদামের খোসা নরম হয়ে যায়। একই সাথে বাদামের মূল অংশটিও নরম হয়ে যায়।
কাঠবাদামের ভিতরে থাকা উৎসেচক লিপেস, খাবারে থাকা ফ্যাট অন্যান্য জটিল উপাদান হজম করতে সাহায্য করে।
কাঠবাদামের থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে। এছাড়া কাঠবাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ভিটামিন-ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
আপনারা যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেলে উপকার পাবেন। কাঠবাদামে থাকা প্রচুর পরিমাণে আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ করে বাদাম খাবেন এবং খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন।
কাঠবাদামের রয়েছে ম্যাংগানিজ, কপার ও রিবোফ্লাভিন যা এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ টি কাঠ বাদাম খেয়ে নিলে আপনার সারাদিন কাজের ফলে যে ক্লান্তি ভাব হবে তা দূর হবে।
কাঠবাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ এটি অ্যালকালাইন সমৃদ্ধ একটি খাদ্য বীজ। এই বাদামে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-ই যা বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
কাঠবাদামের রয়েছে মগজ এর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান এল-ক্যারনিটিন ও রিবোফ্লাবিন। উপাদান দুটি মগজের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিভ্রম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কাঠবাদাম শিশুদের বুদ্ধির বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার।
ত্বকের যত্নে কাঠ বাদামের তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চর্ম বিশেষজ্ঞরা। কম বয়সে বলিরেখা দেখা যায় না এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় প্রাকৃতিক ভাবে কারণ কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে একদম ভিতর থেকে ত্বকের উপকার হয়।
দৈনিক মাত্র সাতটি কাঠবাদাম খেলে পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। তুরিনের এক হাসপাতালে প্রমাণিত হয় যে যে কোন বাদাম বা ৭টি কাঠবাদাম পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে বাড়বে।
আমন্ড অয়েল বা কাঠ বাদামের তেলের রয়েছে চুলের উপকারী মনো ফ্যাটি এসিড। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি-১, বি-২ এবং বি-৬।
এগুলো চুলকে পুষ্টি দেয় এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। চুলকে নরম, সোজা ও সিল্কি করে করে তোলে ফ্যাটি এসিড।