আসসালামু আলাইকুম। আমাদের জীবনের অনেকের লক্ষ্য সেনাবাহিনীতে যোগদান করা। বাংলাদেশের অধিকাংশ যুবকই এসএসসি পাশ করার পর স্পৃহা ও লক্ষ্য থাকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করার।
অনেকে হয়তো জানেন না বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাঠে কি কি করতে হয়। যার ফলে অনেকেই বাদ পড়ে যায় এবং তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
কি কি কারণে বাদ পড়ে যায় সেনাবাহিনীতে তা না জানার জন্য অনেকেই বাদ পড়ে যায়। আমাদের দেশের মানুষের অনেকের শারীরিক যোগ্যতা, অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস, সিলেকশন প্রসেস এবং কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীতে চাকরি হয় না সে সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে দেখা যায় অনেকেই বাতিল হয়ে যায়।
চলুন আমাদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে দেখে নেই কি কি কারনে বা সমস্যা থাকলে বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- এসএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ পেতে হবে
- ১৭ বয়সের নিচে হলে
- উচ্চতা ও বুকের মাপ সঠিক না হলে
- অবিবাহিত হতে হবে
- রক্তে এইচআইভি (HIV) থাকলে বাদ পড়ে যাবে
- রাষ্ট্রদ্রোহী কোন কাজে জড়িত থাকলে বা কোনো মামলায় আসামি হলে
- শরীরে কাটা ছেঁড়ার দাগ থাকলে। যেমনঃ এক থেকে দেড় ইঞ্চি কিংবা তার চেয়ে বেশি, যা কখনো যাওয়ার মতো না
- দুই হাটু একসাথে মিলে যাওয়া। সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পর দুই পায়ের গোড়ালি একজায়গায় করলে যদি দুই হাটু মিলে যায় বা মাঝখানে ফাঁকা না থাকে তাহলে বাদ দিয়ে দেবে
- শরীরের কোন স্থানে ট্যাটু করা বা খোদাই করে কারো নাম লেখা
- নখের কোনায় পচন বা কোন সমস্যা থাকলে আপনি বাদ পড়ে যাবেন
- নাকে ও দাতে কোন বড় ধরনের সমস্যা থাকলেও আপনি বাদ পড়ে যাবেন
- কালার ব্লাইন্ড বা আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি তে কোন সমস্যা। যেমন চোখের দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ না থাকলে আপনি বাদ পড়ে যাবেন।
- অন্ডকোষে কোন প্রকার অস্বাভাবিকতা লক্ষণ পাওয়া গেলে বাদ দেওয়া হবে
- উচ্চতা অনুযায়ী ওজন অতিরিক্ত কম বা অতিরিক্ত বেশি থাকলে বাদ পড়ে যাবে
- লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভা পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর না পেলে বা মেডিকেল পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত না হলে আপনাকে বাদ দেওয়া হবে
সুতরাং বলা যায় শারীরিক যোগ্যতা সহ সব মিলিয়ে যার নম্বর বেশি থাকবে বা যে বেশি এগিয়ে থাকবে তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বা বিবেচিত করা হবে।
অনেকে সবকিছুতে যোগ্য হলেও পরীক্ষায় কম নম্বর বা কোন কিছুতে কম পাওয়ার কারনেও অনেকে বাদ পড়ে যায় কারণ তখন যে সব থেকে বেশি এগিয়ে নম্বরের দিক দিয়ে তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা আছে যেগুলো ব্যায়াম করার মাধ্যমে ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।