স্বভাব সুলভ ভাবে মানুষের মনে থাকে অনেক কিছু নিয়ে অনেক কৌতুহল। আর কৌতুহল থেকে মনে জাগে অনন্ত জিজ্ঞাসা। অনন্ত জিজ্ঞাসা সমাধান আছে অনন্তহীন জ্ঞান ধরে রাখা বই। বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন ও ধর্ম ইত্যাদির এক বিশাল সংগ্রহশালা হচ্ছে পাঠাগার বা লাইব্রেরি।
লাইব্রেরী বা গ্রন্থাগার শব্দের প্রতিশব্দ হচ্ছে পাঠাগার, পুস্তকাগার। লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার হলো বই-পুস্তক, সংবাদপত্র ও অন্যান্য তথ্যসামগ্রীর একটি বিশাল সংগ্রহশালা যেখানে পাঠক গ্রন্থপাঠ, গবেষণা এবং তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন।
লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তা
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের শরীরের যেমন খাবার দরকার ঠিক তেমনি আমাদের মনের খাবার দরকার। মনের ক্ষুধা মেটায় জ্ঞান। জ্ঞান অর্জন করার অন্যতম মাধ্যম হলো বই।
আর বইয়ের আবাসস্থল হলো গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী। আমাদের যেমন চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল, পড়ালেখার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্ম পালন করার জন্য উপাসনালয় রয়েছে ঠিক তেমনি জ্ঞান অর্জনের জন্য লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
লাইব্রেরিতে সংগৃহীত থাকে নানা ধরনের বই। সকল ধরনের মানুষের চাহিদা ও রুচি অনুযায়ী বই সরবরাহ করা থাকে লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরি সব রকম জ্ঞান-সাধনার শ্রেষ্ঠ সহায়ক। সচেতন মানুষ লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।
লাইব্রেরী থেকে অজানা কে জানা যায়, সীমাহীন জ্ঞান ভাণ্ডার থেকে জ্ঞান অর্জন করা যায়, ভাবুক রাজ্যের সন্ধান। পৃথিবীর সকল মনীষীরা জীবনের কোন একটা দীর্ঘ সময় লাইব্রেরিতে কাটিয়েছেন। লাইব্রেরিতে বই পড়ার মাধ্যমে সাহিত্য-শিল্প, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি সহ সব ধরনের জ্ঞানের চর্চা করা যায়।
পাঠকের চাহিদা পূরণের জন্য পৃথিবীতে গড়ে উঠেছে অগণিত লাইব্রেরি। নাগরিকদের পরিপূর্ণ শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র বা সমাজে লাইব্রেরি গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানের যান্ত্রিক জীবন থেকে নিজের মনকে শান্ত রাখতে ও আনন্দ দিতে লাইব্রেরি হতে পারে সবচেয়ে ভালো স্থান।
একটি জাতিকে পৃথিবীর মধ্যে উঁচু করে তুলতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। লাইব্রেরিকে বলা হয় শিক্ষার বাতিঘর। প্রতিটি সমাজে লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য। লাইব্রেরী হলো একটি জাতির উন্নতি ও বিকাশের মানদন্ড।
বই পড়ার মাধ্যমে জাতীয় চেতনার জাগরণ হয়। বই পড়ার সবচেয়ে ভালো ও উপযোগী জায়গা হলো লাইব্রেরি। সুতরাং বলা যায় লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।