ইবাদত কাকে বলে
ইবাদত একটি আরবি শব্দ। ইবাদত অর্থ উপাসনা করা, আনুগত্য করা, বন্দেগী করা, দাসত্ব করা, গোলামী করা, মেনে চলা। মহান আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ মেনে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার নামই হচ্ছে ইবাদত।
শরীয়তের পরিভাষায়, মহান আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূল (সঃ) যে সকল আদেশ-উপদেশ দিয়েছেন সেগুলো মেনে চলা এবং যে সকল কাজ নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাকার নামই হচ্ছে ইবাদত।
সহজ ভাবে বললে আল্লাহর তাওহীদ এবং একত্ববাদকে পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার নামই ইবাদত।
বিভিন্ন স্কলারগণ বিভিন্ন মতবাদ দিয়েছেন ইবাদত সম্পর্কে। সেখান থেকে কিছু মতামত তুলে ধরা হলোঃ
মহান আল্লাহতালা যেসকল বিধি-বিধান দিয়েছেন সেগুলো নবী-রাসূলদের মাধ্যমে মেনে চলার নামই হচ্ছে ইবাদত। যে সকল কাজ আল্লাহতালা ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন সেগুলো প্রকাশ্যে এবং গোপনীয় ও কথার মাধ্যমে করা।
ইবনে তাইমিয়া (রঃ)
মহান আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ ঘোষণা দেওয়া এবং আল্লাহর দ্বীনের বিধানসমূহ মেনে চলার নামই হচ্ছে ইবাদত। বিনয় ও নিজেকে তুচ্ছ করে প্রকাশ করা ইবাদতের মূল।
ইমাম কুরতুবী (রঃ)
পারিভাষিক অর্থে ইবাদত বলা হয় পরিপূর্ণ ভয়-ভীতি, বিনয় এবং ভালোবাসার সমন্বয়কে। নমনীয়তা হচ্ছে ইবাদত এর শাব্দিক অর্থ।
ইবনে কাসীর (রঃ)
সত্ত্বার বড়ত্বকে মাথা পেতে নেওয়া অতঃপর তার সামনে নিজের স্বাধীনতাকে বিলীন করে দেওয়া অর্থাৎ স্রষ্টার অনুগত্য কে বরণ করে নেওয়া।
আবুল আল মওদূদী (রঃ)
পাচঁ উপায়ে ইবাদত করা যায়
যথাঃ
- অন্তরের মাধ্যমে ইবাদত – ঈমান, নিয়ত, আল্লাহকে ভয় করা।
- ভাষাগত ইবাদত – কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া।
- কাজ ও শরীরের মাধ্যমে ইবাদত – নামাজ, রোজা।
- আর্থিক ইবাদত – যাকাত, সদকা, কোরবানি।
- সকল বৈশিষ্ট্য একসাথে আছে এরকম ইবাদত – হজ্জ, জিহাদ।
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আমি মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদত করার জন্য। আল-কোরআনে ইবাদত শব্দটি বিভিন্নভাবে মোট ২৭৬ বার উল্লেখ করা হয়েছে। ইবাদত করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। একজন প্রকৃত ইবাদতকারীকে আল্লাহতালা পুরস্কার হিসেবে জান্নাত দান করবেন।