বড় অঙ্কের অর্থ নগদ লেনদেনের থেকে চেকে লেনদেন করা বেশি ভরসাযোগ্য। এর ফলে টাকা লেনদেনের একটি প্রমাণ থাকে এবং আয়কর দপ্তরেও লেনদেনের তথ্য থাকে।
চেক লেখার সময় সামান্য ভুল অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে আপনার। চেক লেখা বেশ সহজ কিন্তু তা লেখার পূর্বে কিছু তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখা ভালো। কথা না বাড়িয়ে আসুন জেনে নিই চেক লেখার নিয়মঃ
সর্বপ্রথম আপনাকে ব্যাংক থেকে একটি চেকবুক সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপর চেকবুক এর যেকোনো একটি পৃষ্ঠা খুলুন। খোলার পর সেখানে ব্যাংকের তথ্য এবং যাকে টাকা দিবেন তার তথ্য দেয়ার মাধ্যমে চেক লেখার কাজ করা হয়।
Date
চেকের উপরের দিকে ডান পাশে তারিখ বা Date নামের একটি অপশন থাকবে। সেখানে আপনার সুবিধা অনুসারে ভবিষ্যৎ তিন মাসের মধ্যে যেকোনো একটি তারিখ লিখবেন। যেন ওই তারিখের মধ্যে টাকা তুলতে পারবেন। মনে রাখবেন তিনমাস পরে চেক অবৈধ হয়ে যাবে। বাংলা ও ইংরেজী দুই ভাবেই তারিখ লেখা যায়।
Pay to
খুব সাবধানতার সাথে কোন সংস্থা বা কোন ব্যক্তি কে চেক প্রদান করবেন তার নাম লিখবেন। নাম বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাবেই লিখতে পারেন।
Sum of Taka
টাকার পরিমান লিখার জন্য চেক এর মধ্যে দুটি জায়গা পাবেন। চেকের ডানপাশে অংকে টাকার পরিমাণ লিখবেন এবং বাম পাশে কথায় টাকার পরিমাণ লিখবেন। খুব সতর্কতার সাথে টাকার পরিমান লিখবেন। টাকার পরিমান লেখার পর শেষে ( /- ) চিহ্ন দিয়ে দিন। ফলে কেউ অতিরিক্ত সংখ্যা বসে জালিয়াতি করতে পারবে না।
চেকের পিছন সাইডে আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং ফোন নম্বর অবশ্যই লিখবেন। যেন চেকে কোন ধরনের সমস্যা হলে ব্যাংক আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
Signature
সর্বশেষ এ চেকের নিচের অংশে বামদিকে স্বাক্ষর দেয়ার মত একটি অপশন পাবেন সেখানে আপনার স্বাক্ষর দিন। একাউন্ট খোলার সময় যে স্বাক্ষরটি ব্যবহার করেছিলেন অবশ্যই সেই স্বাক্ষরটি লিখবেন। আপনার স্বাক্ষর যদি না মিলে তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার চেক বাতিল করে দিতে পারে।
উপরের ধাপগুলো ফলো করলে আশা করি আপনি সঠিক নিয়মে চেক লিখতে পারেন।