আলকুশি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। প্রায় প্রতি বছরই এই উদ্ভিদের ফুল ও ফল হয়। এটি দেখতে অনেকটা সিমের মত। এই উদ্ভিদের পাতা গুলো বেশ মসৃণ এবং প্রতিটি পাতা লম্বায় প্রায় ৮ থেকে ১২ সে.মি. পর্যন্ত হয়।
আলকুশি তে রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুন। কুণ্ডলী, আত্মগুপ্তা, শীম্বী, স্বয়ংগুপ্তা, রোমালু ইত্যাদি নামে আলকুশি পরিচিত।
আলকুশি বীজের উপকারিতা গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো
আলকুশি গাছের শিকড় দিয়ে রস তৈরি করে খেলে ঠাণ্ডা, কাশির সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও আলকুশির শিকড়ের রস এক-চামচ করে এক মাস খেলে আমাশয় রোগ ভালো হয়ে যায়।
বিছার দংশন বা কোন পোকামাকড় কামড়ালে ক্ষতস্থানে আলকুশি বীজের গুড়া লাগালে ব্যথার যন্ত্রনা অনেকটা কমে যায়। আলকুশির পাতা শাক এর মত রেঁধে খেলে রক্ত থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
আলকুশির বীজ চিনি ও দুধের সাথে সিদ্ধ করে খেলে বাতের রোগ সেরে যায়। এছাড়া যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তাদের শারীরিক দুর্বলতা দূর করবে । শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঝিনঝিন করা কাঁপতে থাকা ইত্যাদি সমস্যার জন্য আলকুসির ৬ থেকে ৮ টি বীজ গুঁড়ো করে ছাগলের দুধে অল্প মধুসহ সকাল-সন্ধ্যা দিনে দুবার খেলে অনেক উন্নতি হবে।
অনেকেরই ফোঁড়া সমস্যা হয় যার জন্য অনেক কষ্ট পেতে হয়। আলকুসির পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে ফোঁড়া ফেটে যায়। আলকুশি উদ্ভিদের কান্ডের রস চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ফলপ্রসূ।
হস্তমৈথুনের কুঅভ্যাস বা অন্য কোনো কারণে যাদের পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় তারা আলকুসির ৫/৬ টি বীজ সামান্য গুঁড়ো করে ১০০ মি.লি. দুধের সাথে অল্প চিনি দিয়ে ফুঁটিয়ে ঘুমানোর আগে ১০ থেকে ১২ দিন টানা খেলে দারুন সুফল পাবেন।
এছাড়াও যাদের প্রাপ্ত বয়সে যৌবন প্রাপ্ত বয়সে হয় না তারা অশ্বগন্ধা মূল ও আলকুশি বীজ (৩০০মিলিগ্রাম মাত্রায়) এবং এক চামচ মধুসহ জলে সিদ্ধ করে খেলে উপকার পাবেন।