ইসলামের পাঁচটি বিধান। আর এই পাঁচটি বিধানের মধ্যে নামাজ অন্যতম। দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রথম ওয়াক্ত নামাজ হচ্ছে ফজর নামাজ।
নামাজের মাধ্যমে একজন বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটে যেতে পারে। আমাদের অবশ্যই নামাজ সহি শুদ্ধভাবে পড়তে হবে। নামাজে কোনরকম ভুল-ত্রুটি করলে নামাজ আদায় হবে না।
ফজর নামাজের নিয়ম
ফজর নামাজ ৪ রাকাত। দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ। দুই রাকাত সুন্নত প্রথম আদায় করতে হয় পরে ইমামের সাথে জামাতে দুই রাকাত ফরজ আদায় করতে হয়।
দুই রাকাত সুন্নত আদায়ের নিয়ম
প্রথমে ভালো করে ওযু করে নিতে হবে। এরপর জায়নামাজে দাঁড়িয়ে দোয়া পড়তে হবে।
(ইন্নি উয়াজ্জাহতু উয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারা সসামাওয়াতি উয়াল আরদ্বি হানিফা উয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন)
দোয়া পড়ার পর নিয়ত করতে হবে
আরবিতে: (নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহিতায়ালা রাকাতাই সালাতি ফাজরি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল ক্বাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার)
বাংলায়: আমি ইমামের পিছনে কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত ফজরের সুন্নত আদায় করার উদ্দেশ্যে নিয়ত করলাম ।
আল্লাহু আকবার বলে নাভির নিচে হাত বাধবো। এরপর ছানা পড়বো,
(সুবহানাকা আল্লাহুম্মা বিহামদিকা উতাওয়া রাকাসমুকা উয়াতায়ালা জাদ্দুকা উয়ালা ইলাহা গাইরুক)।
তারপর সূরা ফাতিহা পরে এর সাথে যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে।
তারপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাব। রুকুতে গিয়ে “সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম” (৩ বার পড়া উত্তম তবে এর বেশি ও পড়া যাবে) পড়ে “সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা” বলে রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে “আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ” পড়তে হবে।
এরপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় গিয়ে “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” (৩ বার পড়া উত্তম তবে এর বেশি ও পড়া যাবে) পড়তে হবে। এমন করে দুইবার সিজদা করতে হবে। আল্লাহু আকবার বলে সেজদা থেকে উঠে আগের মত সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
এরপর আগের মতন রুকু সেজদা দিতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতের দ্বিতীয় সেজদার পর উঠে বসতে হবে। তারপর বসে তাশাহহুদ ও দুরুদে ইব্রাহিম পাঠ করতে হবে। পাঠ শেষে সালাম ফিরাতে হয় “আসসালামুয়ালাইকুম উয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে। প্রথমে একবার ডান দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে পরে আরেকবার বাম দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়।
দুই রাকাত ফরজ আদায়ের নিয়ম
দুই রাকাত সুন্নত আদায় এর মতনই দুই রাকাত ফরজ আদায় করতে হয় শুধু নিয়ত এর মধ্যে একটু পার্থক্য।
(নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহিতায়ালা রাকাতাই সালাতি ফাজরি ফারদুল্লাহি তায়ালা ‘’ইমামের পিছনে পড়লে ইকতা দাইতু বিহাজাল ইমাম অথবা ইমামতি করলে আনা ইমামু লিমান হাদ্বারা উয়ামাইন ইয়াহদুরু’’ মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল ক্বাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার) এই নিয়ত পড়ে হাত বাধতে হবে।
এরপর আপনি সুন্নত নামাজ যেইরকম ভাবে পড়ছেন ঠিক একইভাবে ফরজ নামাজ আদায় করে নিবেন।