অপটিক্যাল ফাইবার কাকে বলে
অপটিক্যাল ফাইবার হল কাঁচ বা প্লাস্টিকের এক ধরনের খুব চিকন, স্বচ্ছ, পাতলা, নমনীয় তন্তু বিশেষ যা আলো পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে আলোর গতিতে ডেটা আদান প্রদান করা হয়।
আলোর গতিতে ডেটা আদান প্রদান সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটি ব্যবহার করে কত দ্রুত ডাটা আদান-প্রদান করা যায়। অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর সব দেশেই এখন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে।
টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে ছবি সম্পাদন, আলোকসজ্জা ও সেন্সর ইত্যাদি কাজে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
জ্যাকস বেবিনেট ও ডেনিয়েল ১৮৪০ সালে আলোর প্রতিসরণ এর মাধ্যমে আলো প্রেরন এর ধারণা প্রথম আবিষ্কার করেন। টিন্ডাল ১৮৭০ সালে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বিষয়ে একটি বই লিখেন।
দেহের ভিতরে ও দাঁতের চিকিৎসায় মুখের ভেতর আলোকিত করার জন্য বাঁকানো কাঁচনলকে আলোক সঞ্চারক রুপে ব্যবহার করা হতো ১৯ ও ২০ শতকের শুরুর দিকে।
লজি বেয়ার্ড ও ক্লারেন্স হ্যানসেল ১৯২০ সালে নল বা চিকন পাইপের মধ্য দিয়ে প্রতিবিম্ব প্রেরনের পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহার করেন। অভ্যন্তরীণ চিকিৎসার পরীক্ষার জন্য ১৯৩০ সালে হেনরিখ ল্যাম অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেন।
অপটিক্যাল রাসায়নিক সেনসর ও অপটিক্যাল বায়োসেন্সর উপাদান হিসেবে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হয়। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে প্রচুর পরিমাণ ডাটা প্রেরনের জন্য আন্তঃমহাদেশীয় ফাইবার অপটিক্যাল স্থাপিত করা হয়েছে। এই ধরনের ফাইবারকে সাবমেরিন কেবল বলা হয়।
অপটিক্যাল ফাইবারকে ফাইবারের গঠনের উপর ভিত্তি করে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. স্টেপ-ইন্ডেক্স ফাইবার
২. গ্রেডেড-ইন্ডেক্স ফাইবার
৩. মনোমোড ফাইবার
অপটিক্যাল ফাইবারের অনেক সুবিধা রয়েছে। অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে আলোর গতিতে খুব দ্রুততার সাথে ডেটা ট্রান্সফার করা যায়। খুব কম সময়ে প্রচুর পরিমাণে ডাটা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ট্রান্সফার করা যায় অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে।
অপটিক্যাল ফাইবার আকারে অনেক ছোট এবং এর ওজন অত্যন্ত কম তাই এটিকে সহজে পরিবহন করা যায়। তাছাড়া ডাটা ট্রান্সফারের সময় পরিবেশের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। এর মধ্য দিয়ে ডাটা ট্রান্সফারের সময় ডাটা নিরাপদ এবং এর গোপনীয়তা বজায় থাকে।