আমরা চাইলে যেকোনো সময় নামাজ পড়তে পারব না। নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট সময় আছে। আবার নামাজ না পড়ার আরও কিছু নির্দিষ্ট সময় আছে।
নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে ফরয, ওয়াজিব, নফল নামাজ তো দূরের কথা আপনি কাজা নামাজও পড়তে পারবেন না।
এই নিষিদ্ধ সময়ে জানাজার নামাজ আদায় করলেও তা মাকরুহ হবে।
নামাজের নিষিদ্ধ সময়
সূর্য উঠার সময়
যতক্ষণ না পর্যন্ত সূর্যের আলো ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সূর্যের হলুদাভাব চলে যায়। ততক্ষণ কোনো নামাজ পড়া যাবে না। মোট কথা ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না।
আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না। অর্থাৎ দিনের শেষ দিকে যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে ওই সময়কে বলা হয়েছে ।
ঈদের নামাজের আগে ঘরে এবং নামাজের পরে ঈদগাহে কোন নামাজ পড়া যাবে না।
ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার পর দুই রাকাত অতিরিক্ত সুন্নত পড়া মাকরুহ। কোন সময় যদি এমন হয় সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ নামাজের সময় শেষ হয়ে যাবে ওই সময় নামাজ পড়া মাকরুহ হবে।ইকামতের সময় নামাজ পড়া মাকরুহ।
পেটে ক্ষুধা অবস্থায় ও যখন আমাদের খাবারের প্রতি অনেক চাহিদা হয় ওই সময় নামাজ পড়া মাকরুহ কারণ ওই সময় আমাদের মন খাবারের দিকে থাকে নামাজে নয়। আবার যখন আমাদের প্রসাব পায়খানার চাপ দেয় ওই সময় নামাজ পড়া মাকরুহ।
সবসময় সূর্য উদয় এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় এক হয়না। তাই ঘড়ির সময় অনুপাতে বলা কঠিন। এর জন্য আপনারা স্থায়ী ক্যালেন্ডারের সাহায্য নিতে পারেন।