আমরা সবাই কাঠবাদাম খেতে পছন্দ করি। কাঠবাদামে অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে। এটি খেতেও বেশ মজাদার। আজকে আমরা কাঠবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।
কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম শক্তি বেড়ে যায়। কাঠ বাদাম ভিজিয়ে রাখলে বাদামের খোসা ও এর ভিতরের অংশটি নরম হয়ে যায়।
লিপসে নামক একধরনের উৎসেচক রয়েছে ভেজানো কাঠবাদামে। খাদ্যের জটিল উপাদান এবং ফ্যাট সহজে হজম করতে সাহায্য করে এটি।
কাঠ বাদামের বিভিন্ন উপকারী উপাদান থাকে। যেমন: প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি। এগুলো হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন-ই।
হাড় ও দাঁতকে সুরক্ষা দেয় ফসফরাস, মিনারেল, ভিটামিন। আর এই উপাদানগুলো কাঠবাদামে বিদ্যমান। কাঠবাদামের ফসফরাস হার ও দাঁতকে মজবুত করার পাশাপাশি এটি হারের ক্ষয়রোধ করে।
আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে হার ও দাঁতের সমস্যা তৈরি হয় আর এসব সমস্যা থেকে রক্ষা করে ফসফরাস।
কাঠবাদামের রয়েছে অ্যালকালাইন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কাঠবাদামে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন রোগ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম যা ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আশঁযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। কাঠবাদামের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। তাই কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ টি কাঠবাদাম খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন তাহলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান পাবেন।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে কাঠবাদামে থাকা পুষ্টিগুণ। এল-ক্যারনিটিন ও রিবোফ্লাভিন এই দুটি পুষ্টিগুণ কাঠবাদামের থাকে যা মগজের জন্য প্রয়োজনীয়। মগজের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আপনি প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ টি কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন।
প্রতিদিন সাতটি কাঠবাদাম খেলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কাঠবাদাম পুরুষদের শুক্রাণুর গুণগতমান এবং পরিমাণ বাড়ায়।
কাঠবাদামে রয়েছে মনো স্যাচুরেটেড যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনার যদি ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে এবং অতিরিক্ত খেতে মন চায় তাহলে আপনি কয়েকটি কাঠ বাদাম খেতে পারেন। কারণ কাঠবাদাম পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা থেকে বিরত রাখে।
কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে কাঠবাদাম সাহায্য করে। কারণ কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন বি ১৭ যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
কাঠবাদামের রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৬, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড।
কাঠ বাদামের তেলে এই উপাদানগুলো থাকায় এগুলো চুলের গোড়া শক্ত করে, চুলকে সোজা করে, চুলকে নরম করে এবং সিল্কি করে। আমাদের যাদের নিয়মিত চুল পড়ে তারা নিয়মিত কাঠবাদাম খেতে পারি কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস।
ফসফরাস এর অভাবে চুল পড়ে। আর কাঠবাদাম খেলে ফসফরাসের অভাব পূরণ হবে। কাঠ বাদামের তেল ও নিমপাতার তেল মিশিয়ে চুলে লাগালে খুশকি সমস্যা দূর হয়।
কাঠ বাদাম খোসা সহ খেলে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। আপনি কাঠবাদাম রেফ্রিজারেটরে রেখে, ভেজে, পানিতে ভিজিয়ে যেকোনো অবস্থায় খেতে পারেন। সকালে কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত। তাহলে আপনার মুখে রুচি বৃদ্ধি পাবে।