একজন মানুষ তার জীবনের প্রথম শিক্ষা পেয়ে থাকে তার পরিবার থেকে। তারপর শুরু হয় লেখাপড়া। এরপর থেকে তার জীবনের প্রথম বই পড়া শুরু হতে থাকে।
বই পড়ার গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। এর গুরুত্ব অপরিসীম। বই পড়ার আনন্দের মতন আনন্দ আর কিছুতে নেই। বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। তাই বই খুললে জ্ঞানের ভান্ডারও খোলা হয়। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা শিক্ষা অর্জন করি।
স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব
সুশিক্ষা মাত্রই স্বশিক্ষা। আর এই স্বশিক্ষা অর্জন করতে হলে বই পড়তে হবে। বই মানুষের বিবেক ও মনুষত্ব বিকশিত করে। বই আমাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, জাতি, ভাষা সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে আমরা বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করি আর এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানুষ ব্যক্তিজীবন তথা সমাজ ও জাতীয় জীবনকে সমৃদ্ধ করে, উন্নত করে ।
ভালো বই পড়ার মাধ্যমে আমরা সকল অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার কে পিছনে ফেলে দিয়ে বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিশীল হতে পারি। এইসব কারণে বইপড়াকে আমাদের সখে পরিণত করতে হবে।
আমাদের ভালো ভালো বই সংগ্রহ করতে হবে ও পড়তে হবে। একসঙ্গে অসংখ্য বই পড়তে হলে অবশ্যই আমাদের লাইব্রেরীতে যেতে হবে। মানবিক চেতনা, মহৎ চিন্তাভাবনা, দেশ প্রেম, সম্প্রীতি, অধ্যবসায় ,ভালো মন মানসিকতা এই সবকিছু আমাদের মাঝে জাগ্রত হয় বই পড়ার মাধ্যমে।
আর এসব গুণাবলী আমাদের সমাজ ও জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করবে। আর তাই নিজেকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত এবং স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লাইকি, টিকটক, ফ্রী ফায়ার, পাবজি ইত্যাদি অনলাইনের এসব মাধ্যম থেকে কিছুটা সময়ের জন্য নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ২/১ ঘণ্টা অন্তত বই পড়তে হবে।
স্বশিক্ষা অর্জনে বেশি বেশি করে ভালো ভালো নিয়মিত আমাদের বই পড়তে হবে। স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার বিকল্প নেই বললেই চলে।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে স্বশিক্ষা অর্জন করার জন্য বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।