ক্রায়োসার্জারি কত তাপমাত্রায় করা হয় তা জানার আগে আপনাকে অবশ্যই ক্রায়োসার্জারি কি তা জানতে হবে। বিডি পপুলার এর আগের একটি পোস্টে ক্রায়োসার্জারি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনি চাইলে সেখান থেকে এই পোস্টটি দেখে আসতে পারেন।
ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসায় প্রধানত যে গ্যাস গুলো ব্যবহার করা হয় তা হল
- তরল নাইট্রোজেন
- হিলিয়াম গ্যাস
- আর্গন গ্যাস
- ডাইমিথাইল ইথাইল প্রোপেন ইত্যাদি গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
মূলত এ ধরনের গ্যাস গুলো ব্যবহার করা হয় রোগাক্রান্ত অংশকে হিমায়িত করার জন্য।
ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতিতে রোগাক্রান্ত কোষের তাপমাত্রা ১২০ থেকে ১৬৫ সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা হয়। এধরনের তাপমাত্রায় নামিয়ে আনতে ইমেজিং যন্ত্রের সাহায্যে তরল আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এবং তাপমাত্রা অত্যধিক কমে যাওয়ার ফলে কোষের পানি জমাটবদ্ধ হয় আক্রান্ত টিস্যুটি বরফে পরিণত হয়। ফলাফল স্বরূপ এই টিস্যুর মধ্যে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে টিস্যু ক্ষয় সাধিত হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে পুনরায় ইমেজিং যন্ত্রের মাধ্যমে কোষের ভিতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণ এর মাধ্যমে কোষের তাপমাত্রা ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ উঠানো হয়। এবং ঠিক এখন জমাটবদ্ধ কোষ বা টিস্যুগুলো বরফ গলে যায়। এবং পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।