কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমাদের জানা এবং জানার ইচ্ছা খুবই প্রবল। কারণ ভবিষ্যৎ হয়তো রচিত হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। সামনের দিনগুলোতে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ আরো বেশি পরিমাণে দেখতে পাবো।
এক্ষেত্রে কিন্তু বাংলাদেশে খুব একটা পিছিয়ে নেই। যদিও গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে বাংলা থেকে ইংলিশ ভালো পরিমাণে করা যায় না তারপরেও বাংলা ভাষা নিয়ে আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে রাখা যাবে না।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বাংলার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করে ইতিমধ্যে সাফল্য লাভ করেছে। অর্থাৎ বাংলার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অভিযাত্রীক দল। তারা ইতিমধ্যে এক লক্ষ টাকার একটি পুরস্কার পেয়েছে।
বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোরে গুগলের একটি ট্রান্সলেটর অ্যাপ পাওয়া যায়। এ গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ দিয়ে আপনি কিন্তু আপনার বইয়ের যেকোনো পৃষ্ঠা স্ক্যানিং করার মাধ্যমে ওই পাতার সকল অক্ষর গুলি কে টেক্সট আকারে সংরক্ষণ করতে পারবেন। অর্থাৎ কোন একটি ছবি থেকে আপনি টেক্সটগুলো কে আলাদা করতে পারবেন।
সেখানে আবার লাইভ ট্রান্সলেটর করে দেখার সুযোগ রয়েছে। তবে যাই হোক বাংলা হাতের লেখা কে ছাপার অক্ষরের রূপান্তরের যে প্রকল্পটির কথা বলা হচ্ছে এই প্রকল্পে হয়ত ঠিক এরকমই বাংলাভাষাকে আরও উন্নত করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করার মাধ্যমে ছাপার অক্ষর এ রুপান্তর করা যাবে।
এবং সব থেকে জটিল বিষয় হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকের হাতের লেখা একেক রকম। যদি না আপনি এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার না করেন তাহলে কিন্তু হাতের লেখা পড়া খুব দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। এমনিতেই অনেকের হাতের লেখা পড়তে গেলে দাঁত ভেঙে যায়।
তার ওপর যদি হাতের লেখা ব্যবহার করে ছাপার অক্ষরে রূপান্তর করার মত কোন কাজ করার দরকার হয় তখন কিন্তু ব্যাপারটা আরো জটিল হয়ে যায়। আর এক্ষেত্রে ইন বাংলাদেশের কিছু তরুণ দুঃসাহসিক কাজটিকে সফলভাবে করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।