আমরা সচরাচর এই ভুলটি করে থাকি। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। এজন্য আমাদের অনেক খেসারত দিতে হয়।
একটি গল্পের মাধ্যমে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্ব কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা বোঝার চেষ্টা করি।
আজকে ব্যাঙ নিয়ে পরীক্ষা চালাবো। যদিও বিষয়টি বাড়িতে করার চেষ্টা করবেন না। বুঝার ব্যাপার সম্পূর্ণ নিজের মধ্যে। এজন্য কখনোই একটি ব্যাঙকে জীবনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া উচিত হবে না।
ধরুন কোন একটি ছোট্ট পাত্রে পানিসহ একটি ব্যাঙ রাখা হলো। পাত্রটি আস্তে আস্তে গরম করতে শুরু করা হলো। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ব্যাঙ পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে সাথে নিজের শরীরের তাপমাত্রা সহনীয় করতে পারে। ঠিক তেমনি এখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙ ও তার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকলো।
সে নিজেকে পাত্রের পানির তাপমাত্রা সাথে সাথে নিজেকে অসহনীয় পর্যায়ে নিতে থাকলো। কিন্তু আসলে সে কিন্তু চাইলেই লাফ দিয়ে বের হয়ে যেতে। কিন্তু সে সেটা না করে পাত্রের মধ্যে অবস্থান করতে থাকে। পরবর্তী পর্যায়ে আস্তে আস্তে যখন তাপমাত্রা আরও বেশি করে বৃদ্ধি পেতে থাকলো এবং এক পর্যায়ে তাপমাত্রা বেড়ে ফুটন্ত তাপমাত্রা অ্যাপ পৌঁছে গেল তখন ব্যাঙটি আর সহ্য করতে পারলো না।
সে সিদ্ধান্ত নিল লাফ দেওয়ার। কিন্তু তখন পর্যন্ত তারা লাফ দেয়ার মত শক্তি অবশিষ্ট থাকল না। এবং এক পর্যায়ে পানি আরো গরম হতে হতে সে গরম পানিতে ফুটে এক সময় মারা গেল।
এখন যদি আমি আপনাকে প্রশ্ন করি যে তাহলে ব্যাঙটি কিভাবে মারা গেছে?
আপনি তো বলবেন যে আমাদের চোখের সামনেই তো ব্যাঙ গরম পানিতে ফুটে মারা গেল।
আপনার বা আমার মত অধিকাংশ মানুষই এ ধরনের উত্তর দিবে। যে ব্যাঙটি গরম পানির কারণে মারা গেছে।
কিন্তু আমি বলব না সে কখনোই গরম পানির জন্য মারা যায়নি। তাকে গরম পানিতে আটকে রাখা হয়নি। সে চাইলেই পারত লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে। সে লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেরিতে নেওয়ার কারণে মারা গেছে।
অর্থাৎ সে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। সে যদি চাইত তাহলে বাঁচতে পারত।
সুতরাং বুঝতে পেরেছেন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্ব সঠিক সময় কতটুকু ভূমিকা পালন করে। আশা করি আজকের পর থেকে এ ধরনের ভুলের কারনে যেন নিজেকে পস্তাতে না হয়।