তাহলে চলুন আজকে জানার চেষ্টা করি চাঁদ আসলে পৃথিবীর চেয়ে কতগুণ বড়।
আমরা সবাই জানি চাঁদ হলো পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। এবং বলা চলে চাঁদ হলো পৃথিবীর বাহিরে পুরো সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ হিসেবে পরিচিত। পরিষ্কার আকাশ থেকে রাতের বেলায় চাঁদ হল সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। আবার পরিষ্কার আকাশের দিনের বেলায় কিন্তু সূর্য হল সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। কিন্তু আমরা দিনের বেলায় আকাশে সূর্য যতটা বড় দেখি রাতের বেলায় কিন্তু সম্পূর্ণ চাঁদকে ততটাই বড় দেখি।
চাঁদ এবং সূর্যের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ থাকলেও মূলত দূরত্বের কারণে এই এরকম দেখা যায়। যেমন সূর্য হলো পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে আবার চাঁদ মাত্র তিন লক্ষ চুরাশি হাজার চারশো কিলোমিটার দূরে।
আরো জানুন – চাঁদ কোন দিকে উদয় হয়
তাহলে চলুন এবার মুল প্রসঙ্গে ফিরে যাওয়া যাক। চাঁদ পৃথিবীর চেয়ে কতগুণ বড়।
আমরা এই বড় পরিমাপ করবো সাইজ দিয়ে। কারণ জ্যোতির্বিদ্যায় কোন কিছুর বড় হিসাব করা হয় অনেকভাবে। যেমন সেটা হতে পারে ভর অথবা আয়তন অথবা ব্যাসার্ধ অথবা ব্যাস দিয়ে।
চাঁদের আকার হলো পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগ থেকে সামান্য একটু বেশি। মূলত ২৭ ভাগ বেশি। চাঁদ হলো গোল এবং এই গোল চাঁদের গড় ব্যাসার্ধ হল ১০৮০ মাই। তাহলে চলুন ১০৮০ মাইল কে আমরা কিলোমিটারে কনভার্ট করি। কিলোমিটারে কনভার্ট করলে এর ফলাফল দাঁড়ায় ১৭৩৪ কিলোমিটার।
তার মানে মোট চওড়া হলো (১০৮০*২=২১৬০) বা (৩৪৭৫ কিলোমিটার)। অর্থাৎ পৃথিবী চাদের চেয়ে তিন গুনের চেয়ে বেশি চওড়া।
তাহলে ব্যাপটি পরিষ্কার হলো তো যে কে কত বড়। আশা করি এ নিয়ে আপনাদের মধ্যে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না। চাদ পৃথিবীর থেকে বড় নয়। আবার তিন গুনের চেয়ে বেশি ছোট।
সৌরজগৎ নিয়ে গবেষণা করে আমেরিকান প্রতিষ্ঠান নাসা। তারা চাঁদ ও পৃথিবীর তুলনামূলক সাইজ নিয়ে একটি সুন্দর উপমা দিয়েছেন তা হল।
পৃথিবীর যদি একটি পয়সার মতো দেখতে হয় তাহলে চাঁদের আকার হবে কফির দানার সমান।
নিশ্চয়ই এবার বুঝতে পেরেছেন যে কে আসলে কত বড়। যদিও আমরা চাঁদকে মোটামুটি দূর থেকেই দেখি।
আরও একটি মজার ব্যাপার উল্লেখ করা দরকার তা হলো পৃথিবীর যেমন মহাকর্ষ বল রয়েছে চাঁদের ও তেমন মহাকর্ষ বল রয়েছে। চাঁদের মহাকর্ষ বল হল পৃথিবীর মাত্র ১৬ দশমিক ৬ ভাগ। ধরুন কেউ যদি পৃথিবীর মাটি থেকে লাফ দিয়ে ১০ ফুট উপরে উঠতে পারে কিন্তু সে যদি চাঁদে গিয়ে একি লাফ দেয় তাহলে সে এক লাফে ৬০ ফুট উঠে যাবে।