রিউমার স্ক্যানার কি?
বাংলাদেশে হঠাৎ করে আকর্শন করা নিউজ ভাইরাল হয়ে যায়। সেটা যেকোন নিউজ হতে পারে। তবে কথা হলো যে আসলে ঐ নিউজটা সত্য কিনা। যদি সত্য না হয় তাহলে এই ধরনের নিউজ দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর রিউমার স্ক্যানার এই যাচাইকরন কাজটাই করে থাকে।
বাংলাদেশে করোনা মহামারীর প্রকোপ শুরু হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানের যাত্রাও একই সময়ে। লকডাউনের সময়ে বেশীরভাগ মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পরে। তখন তারা আরো বেশি সময় দিতে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে ব্যবহারকারীদের দ্বারা। আর এ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে অনলাইনে ভুয়া তথ্যের প্রচার ছড়াতে থাকে প্রচুর পরিমানে।
ভুয়া তথ্য নিশ্চই বিপদজনক। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত হওয়াটাই ষ্বাভাবিক। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে পেরেছে রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ। শুরু থেকেই তারা তথ্য যাচাইয়ের কাজ করেন। এবং এরই সাথে তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে নিয়েছেন। পয়েন্টার ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজমের অঙ্গসংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) গত ২৮ জুলাই তাদের এ স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
বিশ্বব্যাপী স্বাধীন ও মানসম্মত তথ্য যাচাই কার্যক্রমের মধ্যে নিরপেক্ষতা ও ন্যায্যতা, তথ্যের উৎসের গুণগতমান ও স্বচ্ছতা, অর্থায়ন ও সংস্থার স্বচ্ছতা, যাচাইপদ্ধতির মান ও স্বচ্ছতা এবং উন্মুক্ত ও সৎ সংশোধন নীতির ভিত্তিতে কোনো তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে বিশ্বব্যাপী।
রিউমার স্ক্যানারের দাবি, প্রতিষ্ঠার দুই মাসের মধ্যেই তারা করোনা নিয়ে ছড়ানো প্রায় ২৫টি গুজব শনাক্ত করেছে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত তারা ২০০টি গুজব শনাক্ত করেছে।
তাদের কাজের পদ্ধতি কি?
১. ফ্যাক্টচেক অনুরোধ
২. সক্রিয় পর্যবেক্ষণ দল
৩. যাচাই এর জন্য দাবী নির্বাচন
৪. গবেষণা
৫. প্রতিবেদন লেখা ও সম্পাদনা
৬. ডিজিটাল ব্যানার
৭. রেটিং
৮. সংশোধন

এবং ফলাফল ক্যাটাগরিসমূহ
- ফ্যাক্টচেক
- ট্রেন্ডিং গুজব
- করোনা ভাইরাস
- নিউজ ফ্যাক্টচেক
- ভিডিও ফ্যাক্টচেক
- ডু ইট ইওরসেল্ফ ( ডিআইওয়াই ) ফ্যাক্টচেক
সংশোধন নীতি

রিউমার স্ক্যানার সম্পর্কে

অর্থায়ন
