বর্তমান বাজারে অ্যাপল ও স্যামসাং এখন দারুনভাবে স্মার্টফোন প্রতিযোগীতায় ব্যবসা করে যাচ্ছে। কিন্তু অপরপক্ষে গুগল বসে নাই। তারাও স্মার্টফোন বাজার ধরতে চাচ্ছে। যদিও অ্যান্ড্রয়েড নামক স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমটির ধারেকাছেও এখনো কেউ ঘেষতে পরেনি। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কিন্তু গুগলের। বর্তমান বাজারের বড় দুই ব্রান্ডের সাথে গুগল পিক্সেল ৬ এবং পিক্সেল ৬ প্রো বাজারে নিয়ে আসছে।

গুগল অনান্য ব্রান্ডের সাথে নিজেদের একটু আলাদা করে দেখাতে চাচ্ছে। তার কারন তারা এবার স্মার্টফোন প্রসেসর কোয়ালকমের ওপর নির্ভর না করে গুগলের নিজষ্ব উৎপাদনকৃত চিপ তৈরিতে চেষ্টা করছে। এতে একটি লাভ আছে অবশ্য। কিন্তু সুবিধার পরিমানই বেশি। কারন নিজেদের তৈরি প্রসেসর হলে, নিজের সক্ষমতার সাথে মিল রেখে পছন্দমত সুবিধাগুলোতে জোর দিতে পারবে গুগল।
নতুন এই দুটি মডেলে আগের সিরিজের তৈরি মডেলগুলোর তুলনায় বেশ পরিবর্তন করা হয়েছে। এবারের ফ্লাগশিপগুলোর পিছনে আড়াআড়ি কালো ডোরা দেয়া হয়েছে। এবং ডোরার ভেতরে ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে।

ক্যামেরায় একটি নতুন বিশেষত্ব আনা হয়েছে। মেইন ক্যামেরায় মূল লেন্সের সাথে আল্ট্রাওয়াইড লেন্স যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া পিক্সেল ৬ প্রোতে আরো একটি অতিরিক্ত টেলিফটো লেন্স রাখা হয়েছে।
দুটি ফ্লাগশিপই যথাক্রমে ৬ দশমিক ৪ এবং ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে। এবং সামনের অংশে পুরোটা ডিসপ্লে রাখা হয়েছে। সুতরাং দেখাই যাচ্ছে যে দুটি স্মার্টফোনই গত স্মার্টফোন থেকে অর্থাৎ পিক্সেল ৫ এর চেয়ে বড়।

গুগলের স্মার্টফোন বিক্রি বরাবরই অনান্য প্রতিযোগীদের থেকে অনেক কম। কারন দেখা যাচ্ছে আমেরিকায় স্যামসাং আর অ্যাপলের সঙ্গে এখনো পাল্লা দিয়ে কেউ পেরে উঠেনি।
পিক্সেল স্মার্টফোন গুলো দামে মিডিয়াম রেঞ্জের হয়ে থাকে। তবে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের বাজার ঘাটলে দেখা যায় গুগলের ফোনগুলোর উপস্থিত সেখানে কম। কারন তারা প্রিমিয়াম ফোনের বাজারে নিজেদের ব্রান্ডের বিক্রি উল্লেখ্যযোগ্য হারে সুবিধা করতে পারেনি।


তে একটি সিদ্ধান্তকে স্বাগতম জানানোই যায় – গুগল কম্পানি সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন। তারা কত বিশাল। তাই তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঝুকি নেওয়াই যায় গুগলের নিজষ্ব ব্রান্ডের ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন বানানোর মধ্য দিয়ে। তাতে বরং তাদের লাভই হবে বলা যায়। অ্যাপলের সাথে তুলনা করে। কারন অ্যাপলের সকল প্রোডাক্ট তাদের নিজষ্ব টেকনোলজি দিয়ে তৈরি। আর তাই তারা তাদের সেরাটা দেখাতে পারেন। কোন সীমাবদ্ধতা নাই। গুগল মনে হচ্ছে তাদের মতই হাটছে।
দেখা যাক কি হয় সামনের দিকে ——————————–!