সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আমাদের পারিপার্শ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বড় একটি পরিবর্তন এসেছে। সেসব কারণ আপনার চোখের নাগালেই। যেমন আমরা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত যেকোনো তথ্য হাতের মুঠোয় পাচ্ছি। দেশ অথবা দেশের বাইরে যে কোন মানুষের সাথে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারছি। এবং সেসব অন্যদের সাথে সরাসরি ভাগাভাগি ও করতে পারছি।
আর এ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ভাগাভাগি এর ব্যবস্থা কিভাবে হচ্ছে তা অনেকেই চোখে দেখতে পাই না। এসব তথ্য সরবরাহ প্রবাহের পিছনে অ্যালগোরিদমের ভূমিকা অনেক বেশি। যা অনেক মানুষই বুঝতে পারেনা।
নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সাথে সমন্বিত আচরণগত প্রভাব লক্ষণীয়। এবং এ সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার জ্ঞানের অভাব রয়েছে যা বিপদজনক হতে পারে গণতন্ত্র এবং বিজ্ঞান বিষয়ক উন্নতির জন্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব নিয়ে ইতিমধ্যে সমাজবিজ্ঞানী মানবাধিকার কল মি এবং সাংবাদিকরা গণতন্ত্র এবং মানসিক স্বাস্থ্য ও পারিবারিক সম্পর্ক এর উপর প্রভাব নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু দেখা যায় জীববিজ্ঞানে কিংবা ইকোলজিস্ট যারা এ নিয়ে তেমন উৎসাহ প্রকাশ করেননি।
স্টুয়ার্ডশিপ অব গ্লোবাল কালেকটিভ বিহেভার নামক এক শীর্ষক গবেষণা পত্রে দেখা যায় সমাজে প্রযুক্তির বৃহত্তম প্রভাবকে ক্রাইসিস ডিসিপ্লিন হিসেবে গণ্য করা হয়। যেমন বিভিন্ন প্রজাতির রক্ষায় জীববিজ্ঞানীরা যেভাবে এক হয় কাজ করেন ঠিক তেমনি ক্রাইসিস ডিসিপ্লিনে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানীরা একসাথে হয়ে কোন সমস্যার সমাধান দেন জরুরী ভিত্তিতে।
নতুন প্রযুক্তির সমন্বিত আচরণগত প্রভাব গণতন্ত্র ও বিজ্ঞান বিষয়ক উন্নতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে যেমন। করোনা কালীন সময়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ভুয়া তথ্যে প্রসার রোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। আর এ কারণেই ভ্যাকসিন এবং মাক্স ব্যবহারে সর্বজন গ্রাহ্য করে তোলা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
গবেষকরা এ নিয়ে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছেন। তারা বলেছেন এ ধরনের বিষয়গুলো যদি অনিয়ন্ত্রিত হতে থাকে এবং অজানা থেকে থাকে তাহলে পরবর্তীতে হয়তো নতুন প্রযুক্তির কালো দিক দেখতে হবে।