ডাটা সবজি চাষ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই উচ্চ ফলনশীল ডাটা জাত এবং বীজ সম্পর্কে জানতে হবে। বিডি পপুলার আজকে ডাটা শাকের বীজ এবং ডাটা শাকের জাত নিয়ে আলোচনা করবে। তাছাড়া ডাটা সবজি কিভাবে চাষ করবেন তা নিয়ে আগের পোষ্টটি দেখে আসতে পারেন – ডাটা সবজি কি।
বাংলাদেশের অনেকেই আছেন যারা সবজি চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছেন। ডাটা সবজি তাদের মধ্যে অন্যতম। কারন ডাটা সবজি চাষ করতে তেমন কোন জায়গা লাগে না আবার খরচও কম। আবার চাহিদাও বেশি। তাই এ ধরনের সবজি চাষ করতে কৃষক এখন আগ্রহ করছে।

ডাটা শাক বাংলাদেশে রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমে চাষ করা যায়। রবি ও খরিফ মৌসুম বলতে বুঝাচ্ছি শীতকাল ও গ্রীষ্মকাল। ডাটা শাক মানুষের কাছে কেনো এত চাহিদা বলতে পারেন। কারন ডাটা শাকে আছে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি এবং ক্যালসিয়াম ও লৌহ জাতীয় উপাদান। দেখতে পারছেন ভিটামিনের প্রথম থেকে শেষ অব্দি সকল উপাদানই রয়েছে। তাহলে বলুন যে কেনো এ ধরনের সবজির চাহিদা থাকবে না।
ডাটা শাকের জাত
ডাটা শাকের জাত গুলোর মধ্যে – বারি ডাঁটা-১, বারি ডাঁটা-২, বাঁশপাতা, আখি, সুফলা-১, কে এস ০১, ভুটান সফ্ট, রেড ম্যান, অপরাপা, লাবনী জাতগুলো উচ্চ ফলনশীল জাত হিসেবে পরিচিত।
নিচে একটি চার্ট দেয়া হবে, যেখানে উচ্চ ফলনশীল জাতগুলোর সাথে তাদের কম্পানির নাম এবং কোন মৌসুমে বপন করতে হবে তার সঠিক ধারনা পাবেন।

এই চার্টটি নেয়া হয়েছে ইকৃষক থেকে। আপনারা চাইলে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
তবে সবশেষে কথা একটাই। প্রত্যকটি কৃষি কাজে সাফল্য তারাই পায়, যারা কৃষি কাজে সঠিক তথ্য নেয়।
যদি প্রশ্ন করেন – ডাটা শাকের বীজ কতদিনে গজায়?
ডাটা শাকের বীজ বপনের ১ সপ্তাহের আগেই ডাটা বীজের অংকুরোদগম সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা।
তবে নির্ধারিত সময়ে ডাটা বীজ না গজানোর কিছু কারণ উল্লেখ্য করা হলো:
- ১। বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা না থাকা। (আর এ জন্য ভাল মানের বীজ সংগ্রহ করতে হবে)
- ২। বপনের সময় বীজ মাটির অধিক গভীরে বপন করা হলে। (অর্থাৎ ১-২ সে.মি. গভীরে বীজ বপন করতে হবে)
- ৩। বপনের পর জমিতে পরিমিত পানি সেচের অভাব হলে। (তাই বপনের পর চারা গজানোর পূর্ব পর্যন্ত জমিতে হালকাভাবে পানি সেচ অব্যাহত রাখতে হবে)